ভূমিকা
এ পৃথিবীতে যে সকল মানুষ কোন বিপ্লব ঘটিয়েছেন তাদের উজ্জ্বলতম কর্মকাণ্ড শৃধুএটাই বিবেচনা করা হয় যে, তাঁরা পৃথিবীকে আরো কতটা. এগিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেযখন আমরা মুসলিম শাসকদের ইতিহাস পাঠ করি তখন তাদের মহৎ কার্যাবলীর মধ্যেআমাদের দৃষ্টি কেবল সেদিকেই নিবদ্ধ থাকে যে, তার পূর্বে পৃথিবীর অবস্থান কোনকেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং তিনি তা কোন কেন্দ্র পর্যস্ত পৌছে দিয়েছেন।তবে এক্ষেত্রে মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গি পৃথিবীর অন্যসব জাতি-গোষ্ঠী থেকে ভিন্ন। তাদেরদৃষ্টিতে ইসলামের আলোকময় যুগ কেবল সেটাই যা হযরত রাসূলে কারীমের (সা)আবির্ভাব থেকে শুরু হয়েছে এবং খিলাফতে রাশেদায় পৌছে শেষ হয়েছে । এ কারণেতারা মনে করে মুসলিম খলীফাদের গৌরবময় কর্মকাণ্ড এ নয় যে তারা পৃথিবীকে এজ্যোতির্ময় বিন্দু থেকে কিছুটা সামনের দিকে নিয়ে যাবে। বরং তাদের প্রকৃত মর্যাদাএতেই যে, তারা যুগকে এতটুকু পরিমাণ পিছনে নিয়ে যাবেন যাতে তা সাহাবায়েকিরামের যুগের সাথে যুক্ত হয়।
খিলাফতে রাশেদার পর বানূ উমাইয়্যার শাসনকাল শুরু হয়। এদের মধ্যে অনেকখ্যাতিমান শাসক ছিলেন। “আবদুল মালিক একুশ বছর শাসন করেন এবং উমাইয়্যাথান্দানের শাসনকে মজবুত ভিত্তির উপর দীড় করান । আল-ওয়ালীদ এত বেশী দেশ জয়করেন এবং এত বেশী দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করেন যে, গোটা ইসলামী দুনিয়া যেনবুঙ্গশালায় পরিণত হয়। কিস্ত তাদের মধ্যে কেবল “উমার ইবন “আবদিল “আযীয (রহ)এমন এক ব্যক্তি যিনি যুগের লাগাম টেনে ধরে সাহাবায়ে কিরামের (রা) যুগের সাথেমিলিয়ে দেন। এ কারণে ইসলামী পণ্ডিত-মনীবীগণ তাকে ইসলামের একজন মুজাদ্দিদ(সংস্কারক) গণ্য করেছেন এবং তার জীবনী, মাহাত্ম্য ও মর্যাদা বর্ণনা করে গ্রন্থরচনা করেছেন।
একবার আব্বাসীয় খলীফা মামূন আর-রাশীদের সামনে আমীরুল মু’মিনীন “উমার ইবন“আবদিল “আযীষের প্রসঙ্গ ওঠে । তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলে ওঠেন, এই একটিমাত্র ব্যক্তির কারণে বান উমাইয়্যারা আমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। খলীফামামূন একটি অতি সত্য কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। “উমার ইবন “আবদিল“আযীযের কারণে বান্ উমাইয়্যা তাদের প্রতিপক্ষ আব্বাসীয়দেরকে ডিঙ্গিয়ে যেতে সক্ষমহয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ সম্মান ও শ্রেষ্ঠতু কেবল বান্ উমাইয়্যারা লাভ করেনি, বরং সমথমুসলিম উম্মাহ এর অংশীদার হয়েছে ।
Reviews
There are no reviews yet.