fbpx

আয়া সোফিয়া আতার্তুক থেকে এরদোগান

লেখক : আইনুল হক কাসিমী

প্রকাশক : আর রিহাব পাবলিকেশন্স

175 ৳ 

You save 175 ৳ (50%)

লেখক : আইনুল হক কাসিমী
প্রকাশনী : আর রিহাব পাবলিকেশন
বিষয় : ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পৃষ্ঠা : 184, (হার্ড কভার)

আয়া সোফিয়া—ইউরেশিয়ার মিলনমোহনায়, বসফরাস প্রণালির তীরে, ইট-পাথরের নান্দনিক গাঁথুনিতে নির্মিত, শুধুমাত্র হাজার বছরের পুরোনো কোনো স্থাপত্যকীর্তি নয়; বরং গিরজা থেকে মসজিদে রূপান্তরিত হওয়া এই স্থাপনাটি বাইজেন্টাইন সভ্যতার সমাধির ওপর পুনর্নির্মিত উসমানি সভ্যতার স্মৃতিসৌধ। এ স্মৃতিকে কখনও মুছে ফেলা যায় না!
আয়া সোফিয়া—এটি নিছক কোনো উপাসনালয় নয়; বরং এটি মুসলিম উম্মাহর চেতনার বাতিঘর। বৈপ্লবিক আদর্শের রাজতোরণ। ইতিহাসের মাইলফলক। এর সাথে গোটা উম্মাহর স্বার্থ জড়িত। রণক্ষেত্রে সমুন্নত ঝাণ্ডা যেমন, ধর্মীয় দুনিয়ায় মসজিদ হিসেবে এটিও তেমন। এটিকে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া যায় না!
আয়া সোফিয়া—এটি মুহাম্মাদুর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের বাণীতে বাস্তবায়িত, সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতিহর কষ্টে বিজিত, হাজারো শহিদের তাজা রক্তে অর্জিত এক স্বাপ্নিক সুরম্য অট্টালিকা। এটি মুসলমানদের উত্তরাধিকাসূত্রেপ্রাপ্ত সম্পদ। এর মালিকানা অন্য কাউকে দেওয়া যায় না! এটি আমানত। এর খেয়ানত করা যায় না!
আয়া সোফিয়া—মুসলিম উম্মাহর সম্পদ এই মসজিদকে কামাল আতাতুর্ক সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জাদুঘরে রূপান্তরিত করেছিলেন; তার পশ্চিমা প্রভুদের নেমকহালালি করতে। এটি ছিল তার এক অমার্জনীয় অপরাধ। ঐতিহাসিক এই অমার্জনীয় অপরাধকেই সংশোধন করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান। তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন মুসলিম উম্মাহকে তাদের অধিকার। এজন্য উম্মাহ তার কাছে ঋণী থাকবে।
আয়া সোফিয়া—কীভাবে মুসলিম উম্মাহর উত্তরাধিকারসূত্রেপ্রাপ্ত সম্পদ হয়, কেন এটির মালিকানা হাতছাড়া করা যায় না, এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা কেন বেআইনি, আবারও এটি মসজিদ হওয়াতে পশ্চিমাদের, তাদের দোসরদের এবং আত্মপরিচয়হীন নামধারী মুসলিমদের কেন এত মায়াকান্না—এসবকিছুরই অনুদ্ঘাটিত তথ্য, তত্ত্ব ও ইতিহাসের ফুলঝুরি এ বইটিতে। আশা করি, আপনার ভাবনার বদ্ধ দুয়ারে বইটি করাঘাত করবে, ইনশাআল্লাহ।
প্রকাশিতব্য ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ ইনশাআল্লাহ।