কুরআনুল কারীম হচ্ছে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বাণী। সমগ্র মানবতার জন্য হেদায়াত, হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্যকারী সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ তিনি এ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। “নিশ্চয়ই এ কুরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের (পক্ষ থেকে) নাযিলকৃত। আমানতদার ফেরেশতা জিবরীল একে নিয়ে আপনার হৃদয়ে অবতরণ করেছেন, যাতে আপনি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এটা পরিষ্কার আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে।” (সূরা ২৬; শু‘আরা ১৯২-১৯৫)
এ কুরআনকে নাযিল করার পাশাপাশি এর হেফাজতের পূর্ণ দায়িত্বও মহান আল্লাহ স্বয়ং গ্রহণ করেছেন। এর পঠন-পাঠন, লিখন পদ্ধতি, একত্রিকরণ, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ের সংরক্ষণও তিনি নিজেই করবেন।
প্রিয়নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন নাযিলের শুরুর দিকে জিবরীল আমিন যখন তাঁর সামনে কুরআন পড়তেন তখন মুখস্থ করার জন্যে তিনি বারবার জিহ্বা সঞ্চালন করতেন, তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করে বলেন, “কুরআনকে দ্রুত মুখস্থ করার জন্য জিহ্বা সঞ্চালন করবেন না। এটাকে একত্রিকরণ এবং পাঠ করানোর দায়িত্ব একমাত্র আমার। সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন। অতঃপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্বও আমার।” (সূরা ৭৫; কিয়ামাহ ১৬-১৯)
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে নবী! আপনার কাছে ওহী পূর্ণরূপে নাযিল করার পূর্ব পর্যন্ত কুরআন পড়তে গিয়ে তাড়াহুড়ো করবেন না, আর দোয়া করুন, হে আমার রব আমার ইলম বাড়িয়ে দিন।” (সূরা ২০; ত্বাহা ১১৪)
সংরক্ষণের যে ওয়াদা তিনি করেছেন তারই বাস্তবায়ন হচ্ছে এ ব্যবস্থা।
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল্ল্লুাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উপর ওহী অবতীর্ণের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, “কখনো কখনো আমার নিকট ওহী আসে ঘণ্টাধ্বনির ন্যায়। এ পদ্ধতিটি আমার উপর সবচেয়ে বেশি কঠিন। এরপর ওহী নাযিলের অবস্থাটি অপসারিত হওয়ার আগেই বিষয়টি আমার মুখস্থ হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো ফেরেশতা কোনো এক ব্যক্তির আকৃতিতে এসে আমার সঙ্গে কথা বলে। কথা বলা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে আমি তা মুখস্থ করে ফেলি।” (বুখারী: ৩২১৫)
সুতরাং মুখস্থ করানোর দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিয়েছেন। জিবরীল আমীনের প্রস্থানের পরপরই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়াতগুলো নিজে পড়তেন এবং সাহাবীদেরকে পড়িয়ে দিতেন। এভাবেই কুরআনে কারীম হিফ্জ করানোর পদ্ধতি শুরু হয়। জিবরীল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে পড়াতেন। পড়ানো মানেই মুখস্থ করানো।
এ কুরআন তো আল্লাহ তাআলা মানবতার জীবনবিধান হিসেবে দিয়েছেন। সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত এর সংরক্ষণ না হলে চলবে কিভাবে? এ জন্যে এ উম্মতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুরআনে কারীমকে মুখস্থ করে এবং করিয়ে একজনের সীনা থেকে আরেকজনের সীনায় প্রবিষ্ট করানো। “তাদের কিতাবসমূহ তাদের সীনায় সংরক্ষিত থাকে।”
প্রিয়নবীর যুগে আল্লাহ তাআলা এ কুরআন সংরক্ষণের জন্যে এমন সব সাহাবীদের এ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন যাঁরা তাঁর মুখনিসৃত উচ্চারণ থেকে এক শব্দ এক শব্দ করে কুরআনকে গ্রহণ করেছেন। এমনকি একটি যবর, যের, পেশ, সাকিন কোন কিছুকে তাঁরা অবহেলা করেননি। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সব শিখে নিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই পূর্ণ কুরআন হেফ্জ করেছেন, কেউ করেছেন অধিকাংশ, আবার কেউ করেছেন কিয়দাংশ। তাদের মধ্যে আবূ বকর, ওমর, উসমান, আলী, তালহা, সা’দ, ইবনে মাসউদ, সুহাইল, সালেম, ইবনে উমর, ইবনে আব্বাস, আমর বিন আস, তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ, মুয়াবিয়া, ইবনে শোয়াইব, আব্দুল্লাহ বিন সায়েব, আয়েশা, হাফ্সা, উম্মে সালামা, উবাদা ইবনে কা’ব, মুয়াজ বিন জাবাল, আবুদ দারদা, যায়েদ বিন ছাবেত, আবু যায়েদ, আনাস বিন মালেক (রাদিআল্লাহু আনহুম আজমায়ীন) অন্যতম। (আন নাশর ফিল ক্বিবায়াতিল আশর, ১/৬)
যারা এ কুরআন চর্চা করবে, পড়বে, বুঝবে, জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করবে, হৃদয়ে ধারণ করে মুখস্থ করে তার রঙে নিজেকে রাঙাবে তাদের ইজ্জত, সম্মান, মর্যাদা যে কত বেশি তা লিখে শেষ করা যাবে না। কুরআন ও হাদীসে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে।
“যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যা কিছু রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে, নিশ্চয়ই তারা এমন এক ব্যবসা আশা করে, যার মধ্যে কখনো লোকসান হবে না।” (সূরা ৩৫; ফাতির ২৯)
“অতপর আমি এমন লোকদেরকে এ কিতাবের ওয়ারিস বানিয়েছি, যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে বাছাই করে নিয়েছি।” (সূরা ৩৫; ফাতির ৩২)
উসমান বিন আফ্ফান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে, যে নিজে কুরআন শিখে এবং তা অন্যকে শেখায়।” (বুখারী: ৫০২৭)
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কুরআন পড়–য়া কিয়ামতের দিন সম্মানিত পবিত্র লেখকদের সঙ্গে থাকবে। আর যে ঠেকে ঠেকে কষ্ট করে কুরআন পড়ে তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ পুরস্কার।” (মুসলিম: ৭৯৮)
ওমর বিন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তাআলা এ কালামের বদৌলতে একদলকে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে উঠাবেন, আরেক দলকে লাঞ্ছিত, অপমানিত করবেন।” (মুসলিম: ৮১৭)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “তোমরা কুরআন পড়, কেননা কিয়ামতের দিন কুরআন তার সাথীদের জন্য সুপারিশকারীরূপে উপস্থিত হবে।” (মুসলিম: ৮০৪)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “দু’জনের ক্ষেত্রেই কেবল ঈর্ষা হতে পারে, একজনকে আল্লাহ তাআলা কুরআন দান করেছেন যে দিবারাত্রি এর তিলাওয়াত করে। আরেকজনকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন, যে দিবারাত্রি তা কল্যাণের পথে ব্যয় করে।” (বুখারী: ৭৫২৯, মুসলিম: ৮০১৫)
আরেকটি হাদীসে এসেছে, কুরআন ওয়ালাকে বলা হবে, “কুরআন পড় আর উপরের দিকে আরোহণ করতে থাক এবং তারতীলের সঙ্গে পড়তে থাক। কেননা জান্নাতে তোমার স্থান হচ্ছে সর্বশেষ আয়াত, যেখানে গিয়ে তুমি থামবে সেখানে।” (আবু দাউদ: ১৪৬৪, তিরমিযী: ২৯১৪)
সুফিয়ান সাওরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এক ব্যক্তি জিহাদরত আছে, সে আপনার নিকট অধিক প্রিয়, না যে কুরআন পড়ছে সে? তিনি বললেন, যে কুরআন পড়ছে সে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুরআনের ধারক বাহকরাই মর্যাদার দিক থেকে অন্য সকলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব পাবার উপযুক্ত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলার কিতাব যে অধিক পড়তে জানে সে জনগণের ইমামতি করবে।” (মুসলিম: ৬৭৩)
ওমর (রা)-এর মজলিশে এবং পরামর্শ সভায় কম বয়সি এবং বেশি বয়সি কুরআন পড়–য়ারাই অগ্রাধিকার পেতেন। (বুখারী)
বিশুদ্ধ এবং গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত অন্যান্য তাসবীহ তাহলীল ও যিকিরের চেয়ে উত্তম। (আত বিইয়ান ফী আদাবি হামালাতিল কুরআন, পৃ. ১১)
বলার অপেক্ষা রাখে না, যারা হাফেজে কুরআন, উপরোক্ত মর্যাদার সর্বপ্রথম দাবিদার হচ্ছেন তাঁরা। আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে যে নিয়ামত দান করেছেন পৃথিবীর কোনো নিয়ামতই এর সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। এ নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় এবং এর যথাযথ মর্যাদা সংরক্ষণ অতীব জরুরি। এমন কতিপয় গুণ তাদের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়, যা তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেবে, দু’জাহানের সফলতা লাভে তারা ধন্য হবে। মহান আল্লাহর নিকট তাওফীক কামনা করে আলোচ্য প্রবন্ধে এ জাতীয় কিছু গুণের অবতারণা করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
হাফেযে কুরআনের গুণাবলী
লেখক : হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
প্রকাশক : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
20 ৳ Original price was: 20 ৳ .14 ৳ Current price is: 14 ৳ .
নাম: হাফেযে কুরআনের গুণাবলী
ISBN: 978-984-8927-45-8
বিষয়: কুরআনের মর্যাদা ও গুরুত্ব
লেখক: হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
প্রচ্ছদ: হামিদুল ইসলাম
পৃষ্ঠা: ২৪;
হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চরসীতা গ্রামের পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয তরীকুল্লাহ, মাতার নাম শাহজাদী বেগম। একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের হিফয সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ মাসরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদীস) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যথাক্রমে- দ্বিতীয়, প্রথম, প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সৌদি সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মোনাওয়ারায় ভর্তি হন এবং ‘তাফসীর ও উলুমুল কুরআন’ বিভাগ থেকে লিসান্স (অনার্স) ও মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে নরসিংদী’র জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে অদ্যবধি একই মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৌদি আরবের রিলিজিয়াস এটাচের অধীনে বাংলাদেশে ‘দাঈ’ হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানমালায় আলোচক ও বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তাঁর রচিত-অনুদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন’ (অনুবাদ), ‘হে আহলে সুন্নাহর অনুসারীগণ! সতর্কতা গ্রহণ করুন’ (অনুবাদ), ‘সহজ তাওহীদ’ (অনুবাদ), ‘হাফেযে কুরআনের গুণাবলি’, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’, ‘ইবাদাতের নামে প্রচলিত কতিপয় বিদ‘আত’, ‘র্শিকের ভয়াবহতা, বিদআত ও উহার মন্দ প্রভাবসমূহ’, ‘একশত দশটি ফযীলত-সহ সূরা কাহফের তাফসীর’ (অনুবাদ, প্রকাশিতব্য)। তার সহধর্মিনীর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চরসীতা গ্রামের পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয তরীকুল্লাহ, মাতার নাম শাহজাদী বেগম। একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের হিফয সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ মাসরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদীস) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যথাক্রমে- দ্বিতীয়, প্রথম, প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সৌদি সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মোনাওয়ারায় ভর্তি হন এবং ‘তাফসীর ও উলুমুল কুরআন’ বিভাগ থেকে লিসান্স (অনার্স) ও মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে নরসিংদী’র জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে অদ্যবধি একই মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৌদি আরবের রিলিজিয়াস এটাচের অধীনে বাংলাদেশে ‘দাঈ’ হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানমালায় আলোচক ও বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তাঁর রচিত-অনুদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন’ (অনুবাদ), ‘হে আহলে সুন্নাহর অনুসারীগণ! সতর্কতা গ্রহণ করুন’ (অনুবাদ), ‘সহজ তাওহীদ’ (অনুবাদ), ‘হাফেযে কুরআনের গুণাবলি’, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’, ‘ইবাদাতের নামে প্রচলিত কতিপয় বিদ‘আত’, ‘র্শিকের ভয়াবহতা, বিদআত ও উহার মন্দ প্রভাবসমূহ’, ‘একশত দশটি ফযীলত-সহ সূরা কাহফের তাফসীর’ (অনুবাদ, প্রকাশিতব্য)। তার সহধর্মিনীর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।
Related products
আবুল ফিদা মুহাম্মাদ ইজ্জত মুহাম্মাদ আরেফ
ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহ. ড. সালমান আল আওদাহ
ইমাম আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবনে শারাফ আননাওয়াবী রহ.
Reviews
There are no reviews yet.