‘ইলম সর্বোত্তম সম্পদ, শিষ্টাচার সর্বোত্তম বন্ধু, তাকওয়া শ্রেষ্ঠ পাথেয়, ইবাদত অধিক লাভজনক পণ্য, বুদ্ধিমত্তা উত্তম প্রতিনিধি, উত্তম চরিত্র শ্রেষ্ঠ সঙ্গী, সহনশীলতা সর্বশ্রেষ্ঠ সহকারী, অল্পেতুষ্টি উত্তম ধনাঢ্যতা, তাওফিক সবচেয়ে বড় সহকারী এবং মৃত্যুর স্মরণ সর্বোৎকৃষ্ট উপদেশদাতা।’
‘যদি তুমি প্রয়োজন পরিমাণ দুনিয়া কামনা করো, তবে খুব অল্প পরিমাণই তোমার জন্য যথেষ্ট। যদি প্রয়োজন অতিরিক্ত দুনিয়া পাওয়ার আশা রাখো, তবে দুনিয়ার কোনো কিছুই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে না।’
‘বান্দা যতক্ষণ নিজেকে উপদেশ দিতে থাকে, ততক্ষণ সে কল্যাণের সাথে থাকে, আমলের ব্যাপারে তার চিন্তা-ফিকির থাকে এবং নিজের কাজকর্মের আত্মপর্যালোচনা করে। পক্ষান্তরে যতক্ষণ সে প্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলে, গাফিলতির চাদর জড়িয়ে থাকে, মিথ্যে আশায় বিভোর থাকে এবং “সামনে করব, সামনে ভালো হয়ে যাব…” এ ধরনের কথা বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে অকল্যাণ লেগে থাকে।’
‘হে আদমসন্তান, ধারণাপ্রসূত দোষের কারণে অন্যকে তুমি অপছন্দ করো, কিন্তু তোমার দোষের প্রতি তোমার দৃঢ় বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও সে ব্যাপারে তোমার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।’
– হাসান বসরি রহ.
হাসান বসরি রহ. বইটির ফ্রি পিডিএফ অফিসিয়ালি অনুমোদিত নয়।
হাসান বসরি রহ. বইটি পড়ে রিভিউ সেকশনে রিভিউ দিয়ে অপরকে উৎসাহিত করুন।
মাসুদ –
হাসান বসরি রহি. বলতেন, “খাওয়ার সময় বারোটি কাজ রয়েছে – চারটি ফরজ, চারটি সুন্নাত ও চারটি আদব।
.
ফরজগুলো হলো – বিসমিল্লাহ বলা, খাবারের দোষ না ধরা, উপস্থিত খাবারের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা এবং নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।
.
সুন্নাতগুলো হলো – ডান পায়ের ওপর বসা, নিজের সামনে থেকে খাওয়া, ডান হাতের তিন আঙুল দিয়ে খাওয়া এবং (খাওয়ার শেষে) আঙুল চেটে খাওয়া।
.
আদবগুলো হলো – খাবার আগে ও পরে হাত ধৌত করা, ছোট ছোট লোকমা গ্রহণ করা, ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া এবং আহারকারীদের প্রতি দৃষ্টি না দেওয়া।
বই – হাসান বসরি রহি. (পৃষ্ঠা – ৪৮)
jainab –
আমরা যেসব সালাফের থেকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হই তাদের অন্যতম হলেন– হাসান বসরি রাহিমাহুল্লাহ। তাঁর ইলম, আমল, আখলাক, জুহদ, নসিহা-সহ অনেক কিছুই পরবর্তীদের জন্য বেশ উপকারী ও অনুপ্রেরণাদায়ী। তিনি একাধারে ফকিহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, আবিদ ও জাহিদ ছিলেন। শুধু তাই নয়; বরং এসব শ্রেণির মধ্যে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠদের অন্তর্গত। তাই তাঁর জীবনীর পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য হীরা ও মণিমুক্তা।
.
বর্তমান সময়ের নাজুক পরিস্থিতিতে আমাদের দৃষ্টিতে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনী বেশ কাজে আসবে। অন্তরের অবস্থা পরিবর্তন করতে তার কথামালা জাদুর মতো কাজ করবে। তাঁর চিন্তা-চেতনা হৃদয়ে আখিরাতের প্রতি তীব্র আকর্ষণ এবং দুনিয়ার প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা সৃষ্টি করবে। তাঁর দর্শনগুলো আমাদের অসুস্থ মানসিকতাকে দ্রুতই চেঞ্জ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।
a.samad –
হাসান বসরি রহি. বলতেন, “খাওয়ার সময় বারোটি কাজ রয়েছে – চারটি ফরজ, চারটি সুন্নাত ও চারটি আদব।
.
ফরজগুলো হলো – বিসমিল্লাহ বলা, খাবারের দোষ না ধরা, উপস্থিত খাবারের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা এবং নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।
.
সুন্নাতগুলো হলো – ডান পায়ের ওপর বসা, নিজের সামনে থেকে খাওয়া, ডান হাতের তিন আঙুল দিয়ে খাওয়া এবং (খাওয়ার শেষে) আঙুল চেটে খাওয়া।
.
আদবগুলো হলো – খাবার আগে ও পরে হাত ধৌত করা, ছোট ছোট লোকমা গ্রহণ করা, ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া এবং আহারকারীদের প্রতি দৃষ্টি না দেওয়া।
বই – হাসান বসরি রহি. (পৃষ্ঠা – ৪৮)