আবদুল আযীয আল আমান। বাংলা সিরাত-সাহিত্যের কিংবদন্তী লেখক। নজরুল-উত্তর শ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক। সিরাত বিষয়ে যতটুকু যা লিখেছেন, তা কালের অক্ষরে মুদ্রিত হয়ে গেছে স্থায়ীরূপে। ‘শিশুদের নবী’ সেই আমানেরই সেইসব সোনাঝরা রচনার উল্লেখযোগ্য এক কর্মযজ্ঞ। যুক্তবর্ণহীন এই রচনা শিশুদের কাছে এতই সমাদৃত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বইটি কয়েক যুগ আগে প্রকাশিত হওয়ার পরও বাংলাদেশের শিশুরা এর সৌরভ থেকে বঞ্চিত ছিল এত দিন। অবশেষে এক সুদীর্ঘ বিরতীর পর হলেও বাংলা ভাষায় এই মহান সিরাতটি পুনর্প্রকাশ করছে দারুল ইলম। চার রঙে রঙিন এই সিরাতটি আশা করছি, আমাদের শিশুদের সিরাতের আলোয় আলোকিত করে তুলবে।
শিশুদের নবী
লেখক : আবদুল আযীয আল আমান
প্রকাশক : দারুল ইলম
220 ৳ Original price was: 220 ৳ .132 ৳ Current price is: 132 ৳ .
বই | শিশুদের নবী |
---|---|
লেখক | |
প্রকাশক | |
বাঁধাই | হার্ডকভার |
সংস্করণ | ১ম সংস্করণ, ২০২২ |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
আবদুল আযীয আল আমান
নজরুল-পরবর্তী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্য ও শ্রেষ্ঠ গদ্যকার, আবদুল আযীয আল আমান। জন্মেছেন কলকাতার চব্বিশ পরগনায়। ১৯৩২ সালের ১০ মার্চ। লেখাপড়ার হাতেখড়ি গ্রামের নিজস্ব পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.। শিক্ষকতা ও অধ্যাপনা করেছেন গার্ডেন রীচ কলেজ ও ঢাকার জগন্নাথে। লেখালেখির সাথে যুক্ত হয়েছেন ছাত্রজীবনেই। তখনই লিখেছেন বিখ্যাত বই ‘পদক্ষেপ’। নিজ সম্পাদিত ‘জাগরণ’ ও ‘কাফেলা’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে ঘনিষ্টতা গড়ে ওঠে সমকালীন শ্রেষ্ঠ লেখকদের সাথে। কবি নজরুলের লেখা নিয়ে নতুন ভাবনা ও পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধের বই মিলিয়ে লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি। ১৯৮৩ সালে সস্ত্রীক পবিত্র হজ সম্পাদনার পর শুরু করেন বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক ‘কাবার পথে’ রচনা। ১৯৮৭-তে শুরু হয় বহু আকাঙ্ক্ষিত সিরাতগ্রন্থ রচনা ‘রাসূলুল্লাহ সা’। এই সময়ই লেখক নিজেকে বহির্জগত থেকে গুটিয়ে নিয়ে ‘দ্বীনি অধ্যয়ন’ ও লেখালেখিতে আবদ্ধ রাখেন। ১৯৯৪-এ মাদরাজে চোখের অপারেশনের আগ-মুহূর্তে নভেম্বরে লেখেন জীবনের শেষ প্রবন্ধ (যা ‘মাসিক মদীনা’তে মুদ্রিত হয়েছিল) ‘রাসূলুল্লাহ সা.-এর বিনয়’। ১৯৯৪-এর ১ লা ডিসেম্বর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লেখক এবং এ দিনই সকাল ১১:৫৫ মিনিটে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দেন।
Related products
ডক্টর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মুখতার শহীদ (রহ.)
আল্লামা সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহ.)
Reviews
There are no reviews yet.