ইমাম শাফি( রহ.) বলেন, ব্যভিচার এমন একটি গুনাহ যা বান্দার উপর ঋণ হিসেবে থেকে যায়। সুতরাং যদি কোন যুবক ব্যভিচার করে তাহলে সে শুধু একটা গুনাহ করেছে এমন নয় বরং তার এটা পরিশোধ করতে হবে।হয়তো তার স্ত্রী করবে অথবা তার বোন করবে বা তার মেয়ে করবে।
ওলামায় কেরাম বলেন, তার ঘরের মেয়েলোকদের সাথে অবশ্যই ব্যভিচার করা হবে। নতুবা তার ঘরের দেয়ালের সাথে হলেও ব্যভিচার করা হবে হদিসে অাছে,তুমি যদি অন্যের স্ত্রী সাথে পরহেজগারী কর তাহলে মানুষ তোমার স্ত্রীর সাথেও পরহেজগারী করবে। অামরা কি মনে করি, অামরা অন্যের স্ত্রীকে দেখি,অামাদের স্ত্রীকে কেউ দেখেনা।অবশ্যই দেখবে,এটা অাল্লাহর নিয়ম।
অতএব যদি অামলের পরিনতির প্রতি অামাদের বিশ্বাস থাকে তাহলে বান্দা অাল্লাহকে ভয় পাবে।বর্তমানে অামাদের এই বিশ্বাস দূবর্ল হয়ে গেছে।
অামাদের এই অনুভূতি নেই যে, এই একশনের একটি রিয়েকশন রয়েছে।
দেখুন অাল্লাহ কোরঅান মাজিদে বলেছেন,
فمن يعمل مثقال ذرة جيرا يره ومن يعمل مثقال ذرة شرا يره
বিন্দু পরিমান নেক কাজ করলে তার বিনিময় ও তিনি দান করবেন।
সামান্য পরিমান গুনাহ করলে তার প্রতিদানও তিনি দিবেন।
যেখানে একোরেসি লেবেল( সুক্ষ্ন দৃষ্টি) এমন যে বিন্দু পরিমান গুনাহও দৃষ্টি গোচর হয়না সেখানে অামরা এতো গুনাহ করে কীভাবে তার শাস্তি থেকে বাচঁব।
এই বিশ্বাস এন্তরে অাসতে হবে। সাহাবাদের অন্তরে এর দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো।তাই তো বর্ণিত হয়েছে, এক অনন্ধকার রাতে এক মহিলার গায়ে এক পুরুষ হাত পড়ল। পুরুষ লোকটি যখন মহিলার গায়ে হাত রাখল, মহিলা সাথে সাথে বলে উঠল,ভয় কর সেই সত্বাকে যিনি অন্ধকারে তেমন দেখেন যেমন দেখেন অালোতে।
তাদের ইমানের কি লেবেল! অন্ধকার রাত,কেউ দেখছে না, কাছে কেউ নেই।মহিলা এই উত্তর দিলো।মূলত অামাদের অামলের পরিনতির প্রতি বিশ্বাস নেই।সুতরাং অামরা যা করি তার পরিনতি অামাদের দিকে ফিরে অাসবে। যদি নেক অামল করি তাহলে রহমত বর্ষন হবে অার গুনাহ করলে অভিশাপ অাসবে।
Reviews
There are no reviews yet.