আয়াতে বলা হয়েছে-“ কোন মুমিন পুরুষ ও কোন মুমিন নারীর জন্য
এই অধিকার নেই যে, আল্লাহ এবং তার রাসূল (সাঃ) যখন কোন ফয়সালা করে
দিবেন তখন সে নিজে সেই ব্যাপারে কোন ভিন্ন ফয়সালা করে । আর যে লোক
আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ)-এর নাফরমানী করবে সে নিশ্চয়ই সুস্পষ্ট
গোমরাহীতে লিপ্ত হবে। (সূরা আহযাব £ ৩৬)
উল্লিখিত আয়াত থেকে স্পষ্টই প্রমাণ হয় যে,সভ্যযুগ ও জাহেলী যুগের মধ্যে
যে পার্থক্য তা হচ্ছে পর্দার বিধান মেনে চলা ও না চলা । যে যুগে এবং যে
দেশেই পর্দার বিধান মানা হয় নি, সে দেশ সভ্য বলে বিবেচিত হতে পারে নি।
হয়তো কেউ বলতে পারেন, পাশ্চাত্যের বহু দেশই তো পর্দার বিধান মেনে চলে
না। কিন্তু তবুও তো তারা সভ্য । এর একটাই মাত্র জবাব তা হচ্ছে, সভ্যতার যে
মাপকাঠি সে মাপকাঠিতে তারা সফল নয়। আর যদি উলঙ্গপনাকে তারা
সভ্যতার নাম দেয় তাহলে আমাদের বলার আর কিছু নেই। তবে একটা কথা
বলা চলে যে, এই সভ্যতার নাম নগ্নতা বেহায়া ও উলঙ্গ সভ্যতা ।
আর যদি কেউ
হিংস্র পশুর সভ্যতা বলে তবে সেটাও অযৌক্তিক বলে একে উড়িয়ে দেয়া যায়
না। কিন্তু আমরা মুসলমান জাতি যে দৃষ্টিতঙ্গি পোষণ করি তাতে বুঝি অসভ্যতা
থেকে সভ্যতায় আসতে অসভ্য যুগের যেসব রীতিনীতি, আচার-আচরণ ও প্রথা
প্রচলন পাল্টাতে হয়েছিল এর মধ্যে অন্যতম ছিল উলঙ্গপনা থেকে কাপড়ের
ব্যবহার এবং পর্দার ব্যবস্থা চালু করা । আর একথা কে না জানে যে, কাপড়ের
ব্যবহার করেই মানুষ আজ পৃথিবীতে সভ্য হয়েছে।
আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, সত্যিকার অর্থে মুসলমান হিসেবে
জীবনযাপন করতে হলে অর্থাৎ ইহ ও পরকাল উভয় জীবনে শান্তি পেতে হলে
তাকে পর্দার বিধান মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে নামায-রোযা ও অন্যান্য ইবাদত
করতে হবে। এক কথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্য করে চলতে
হবে।
আর সর্বদা হুঁশিয়ার থাকতে হবে যেন আনুগত্য আর কারও জন্যে না হয়ে
যায়। তাকে সত্যপন্থী হতে হবে, দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সে
যেন কোন অসৎ পথ অবলম্বন করে না বসে সেদিকে লক্ষ্য রেখে চলতে হবে।
এসব কিছু বলার পর আবারও জোড় দিয়ে বলা হয়েছে যে তোমাদের
লজ্জাস্থানকে হেফাজত করতে হবে । এসব নিয়মনীতি মেনে চললে তার জন্য
রয়েছে মহান আল্লাহর অশেষ নেয়ামত ও পুরস্কার।
এবার ভেবে দেখা যাক, আল্লাহ বলেছেন-হে নারীরা! তোমরা নিজ নিজ ঘরে
অবস্থান করো । এর অর্থ কি এই যে, আল্লাহ নারী জাতিকে ঘর থেকে বের হতে
Reviews
There are no reviews yet.