বিশ্বজুড়ে ফাঁপা পৃথিবী তত্ত্ব’ (Hollow Earth Theory) নিয়ে লেখা বইয়ের সংখ্যা সীমিত। এ বইতে ফাঁপা পৃথিবী তত্বটির বৈজ্ঞানিকতা বহুমাত্রিক আঙ্গিকে ও পবিত্র কুরআনের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ বইতে এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে, পৃথিবী ফাঁপা, মেরুদ্বয়ের গহ্বর ভেতরের পৃথিবীতে উন্মোচিত এবং (নিরক্ষীয় অঞ্চলে) ভূপৃষ্ঠের প্রায় আটশ মাইল গভীর থেকে পৃথিবী ফাঁপা, যেখান থেকে প্রায় সাত হাজার মাইল ব্যাসের অভ্যন্তরীণ পৃথিবীর আবহাওয়ামগুল শুরু। প্রায় ছয়শ’ মাইল ব্যাসের নিরেট কেন্দ্রটি অভ্যন্তরীণ পৃথিবীর জন্য সূর্যের কাজ করে। ভেতরের পৃথিবীর অবতল পৃষ্ঠ উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎসহ মানব বসতি পূর্ণ। তাছাড়া পৃথিবীর ক্রাস্ট বা খোলসের মধ্যে আছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ, যেখানকার সুড়ঙ্গ নগরীসমূহে মানুষ বসবাস করে। এলিয়েন বিষয়ক আলোচনায় আমরা দেখি যে, পৃথিবীতে অনেক প্রাচীন স্থাপনা ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়, যেগুলো তখনকার মানুষদের পক্ষে তৈরী করা সম্ভব ছিল না। ২০০০ বছর পূর্বে হিমালয় পর্বতমালার গভীর রাজ্যে গমন করে দার্শনিক এপোলনিয়াস সেখানে রোবটের মতো যন্ত্রকে খাবার ও পানীয় পরিবেশন করতে দেখে। ১৮৩০ সালে উত্তর মেরুপথে ভেতরের পৃথিবীতে গমন করে ওলাফ জানসেন মোবাইলের মতো যন্ত্র দেখে। ১৯৫৭ সালে মিশেল বোনদ্বয় মহাকাশ ভাইদের শেখানো মতে যন্ত্র তৈরি করে তাদের সাথে কথা বলে। রোবট তৈরির প্রযুক্তি ২০০০ বছর আগে আমাদের ছিল না, ১৮৩০ বা ১৯৫৭ সালে ছিল না মোবাইল তৈরির প্রযুক্তিও। এগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে উন্নত মানব-সভ্যতার অস্তিত্বের বিষয়ে ইঙ্গিত প্রদান করে, যারা একসময় পৃথিবীতে এসেছিল এবং আবার ফিরে চলে যায়।
ফাঁপা পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় পাওয়া গেছে পৃথিবীর স্বর্গ বা ইডেন উদ্যানের সন্ধান। পাতালপুরীর সে স্বর্গীয় ভূমি দখল করে ফেলে ইয়াজুজ, মাজুজখ্যাত আদম সন্তানেরা। কিয়ামতের পূর্বে উঠে আসবে সব এলিয়েন সম্প্রদায়। অনেক সংস্কৃতিতে আছে তাদের পুনরাগমনের কথা। Ali Invasion সহ এ নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র। পবিত্র কুরআনেও এসেছে ইয়াজুজ-মাজুজ সম্প্রদায়ের আসার কথা, যেমনভাবে আসবে এলিয়েন।
পৃথিবী ফাঁপা। মেরুদ্বয় ঢালু হয়ে হয়ে ভেতরের পৃথিবীতে উন্মুক্ত হয়েছে। ঠিক যেন পানির দুটি গহ্বর। পৃথিবীর কেন্দ্র ভূ-অভ্যন্তরীণ সভ্যতার জন্য সূর্য হিসেবে কাজ করে । ফাপা পৃথিবীপৃষ্ঠ উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতে পূর্ণ। মানব ইতিহাসের কোন এক বাঁকে সেখানে প্রবেশ করে বসবাস করছে মানুষ। পৃথিবীর খোলসের বিশাল বিশাল সুড়ঙ্গেও আছে মানববসতি। সুড়ঙ্গ-সভ্যতা আর ফাঁপা পৃথিবীপৃষ্ঠে মানববসতি বিদ্যমান থাকলে সমাধান হয়ে যায় পাতালপুরী, এলিয়েন, ইয়াজুজ-মাজুজ, ফ্লাইং সসার সহ বহু গোপন রহস্যের। রূপকথার, ধর্ম, বিজ্ঞান আর প্রত্যক্ষদর্শীদের নির্ভরযোগ্য বিবরণের যুগপৎ ব্যাখ্যা মাধ্যমে এ বইতে উন্মোচন করা হয়েছে। ভেতরের পৃথিবী ও পাতালপুরীর অজানা সব রহস্যের।
Reviews
There are no reviews yet.