অতীত একটি জাতির সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচয়। আত্মমর্যাদাশীল কোনো জাতি তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি ছেড়ে কখনো বেরিয়ে আসতে পারে না। আফগানজাতির হাজার বছরের ইতিহাস তাদের জাতিসত্তাকে তুলে ধরে। গত শতাব্দীর শেষ দুটি দশক থেকে আজ পর্যন্ত এই নিরীহ কিন্তু বীর, নিঃস্ব কিন্তু আত্মর্মযাদাশীল জাতির বিরুদ্ধে সর্বজনীন ধারাবাহিক বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রুসেড চালানো হয়েছে। তাদের একমাত্র অপরাধ—তারা ঔপনিবেশিক যুগ (Colonial Age) ও উত্তর-আধুনিক (Post-Modern Age) সময়ে এসে আধুনিক সাম্রাজ্যবাদের (Post-colonial Imperialism) দাসত্ব স্বীকার করেনি। গত দুই দশকে এই ক্রুসেডের মাত্রা তার চূড়ান্ত পর্যায় স্পর্শ করেছে। মানবেতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই জাতিকে সামগ্রকিভাবে পঙ্গু করে দিতে হেন কোনো প্রচেষ্টা নেই, যা তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। তাদের জাতিসত্তার গৌরবময় ইতিহাসকেও নানা কায়দায় মুছে ফেলতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রকল্প (Research-based Intellectual Project; like FDD) হাতে নেওয়া হয়েছে; কিন্তু…কিন্তু হাজার বছরের ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা।
দক্ষিণ-এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য-এশিয়াকে সংযোগকারী এই ভূমি ইতিহাসজুড়ে অত্যাচারী আগ্রাসীদের কবরস্থান হিসেবে পরিচিত। আলেকজান্ডার, তাতার আগ্রাসন, তিনবারের অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধ, কমিউনিস্ট সোভিয়েত এবং সব শেষে ইউরোপ-আমেরিকা-ন্যাটো—কেউ-ই তাদের হীন চক্রান্ত ও কাঙ্ক্ষিত প্রকল্প এই ভূমিতে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। প্রতিটি শক্তিকেই এই জাতি তাদের অসম সাহস, দৃঢ় বিশ্বাস আর অমিত তেজ দিয়ে শুধু রুখে দিয়েছে এমন নয়; বরং যারাই এই ভূমিতে এসে তাদের সঙ্গে টক্কর দিয়েছে, কেন যেন ইতিহাস থেকে তারা খুব দ্রুত তাদের দার্শনিক ভিত্তিসহ (Ideology which the nation is built upon) নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আশ্চর্যজনক বিষয় বটে!
কারা এই জাতি? ইসলামের সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক? সেই আরব উপদ্বীপ থেকে কীভাবে ইসলাম এখানে তার সর্বজনীন প্রভাব বিস্তার করল? এই ভূমির প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাশীল অধিবাসীরা কীভাবে ইসলামকে তাদের জীবনাচরণ হিসেবে গ্রহণ করল? ইসলামই-বা কীভাবে আফগানদের হৃদয়মনে প্রবেশ করল? কোন সে আদর্শ আর শক্তি, যা হাজার বছর ধরে হিন্দুকুশ আর হিমালয় পাদদেশের অধিবাসীদের ইসলামের সঙ্গে এমন শক্তিশালী বিশ্বাসের বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছে?
বিজয়ী এই জাতিকে জানতে হলে আপনাকে এই গ্রন্থ অবশ্যই পড়তে হবে। এটি কোনো উপন্যাস বা থ্রিলার নয়, রক্তমাংসে অপরাজেয় আর জীবন্ত একটি জাতির প্রায় ২ হাজার বছরের জ্বলন্ত ইতিহাস।
সাদিক ফারহান –
আফগান- কারা এই জাতি? ইসলামের সঙ্গে তাদের কী সম্পর্ক? সেই আরব উপদ্বীপ থেকে কীভাবে ইসলাম এখানে তার সর্বজনীন প্রভাব বিস্তার করল? এই ভূমির প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাশীল অধিবাসীরা কীভাবে ইসলামকে তাদের জীবনাচরণ হিসেবে গ্রহণ করল? ইসলামই-বা কীভাবে আফগানদের হৃদয়মনে প্রবেশ করল? কোন সে আদর্শ আর শক্তি, যা হাজার বছর ধরে হিন্দুকুশ আর হিমালয় পাদদেশের অধিবাসীদের ইসলামের সঙ্গে এমন শক্তিশালী বিশ্বাসের বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছে?
বিজয়ী এই জাতিকে জানতে হলে আপনাকে এই গ্রন্থ অবশ্যই পড়তে হবে। এটি কোনো উপন্যাস বা থ্রিলার নয়, রক্তমাংসে অপরাজেয় আর জীবন্ত একটি জাতির প্রায় ২ হাজার বছরের জ্বলন্ত ইতিহাস।
আফগানিস্তানের ইতিহাস— বইটির জন্য পাগল হয়ে আছি।
সালিম –
মাওলানা ইসমাইল রেহান বস্তুনিষ্ঠ লেখাগুলো সত্যিই পাঠককে মুগ্ধ করে। পৃথীবির সকলে বর্তমানে তালেবান সম্পকে জানতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের সম্পকে তেমন কোন ডাটা পাওয়া যায় না। প্রিয় প্রকাশনী কালান্তর সময়ের ভাষা বুঝতে জুড়ি মেলা ভার। সত্যিই দারুন কিছু হাতে পাব আমরা পাঠকমহল । শর্ট পিডিএফ দেখে অন্তত তাই মনে হচেছ।
আফগানিস্তানের ইতিহাস বই জিন্দাবাদ
ইশতিয়াক মাহমুদ –
বইটি তথ্যবহুল। ইসমাইল রেহান এর বইগুলো সমকালীন ও বুদ্ধিবৃত্তিক ধাচের হয়ে থাকে। বাস্তবতা হলো যদি বইটি সাল্লাবী লিখতো। তাহলে এত টা আশান্বিত হতো না। ইসমাইল রেহান খুব কাছ থেকে আফগানিস্তানে বর্তমান ইতিহাসের সাক্ষী। যা সাল্লাবীর পক্ষে জানা অতটা গভীর ভাবে সম্ভব নয় বলে মনি করি।
নুসাইবা মিম –
দারুন একটি বই ।
ডাঃ রাব্বি নূর –
গুড
shorif ahmed –
boiti kinlam. khob valo service. ja ashak korechilam tar cheya beshi – alhmadulillah