প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ রাতের আকাশে দেখছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তারকারাজি। বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার আগে থেকেই মানুষ অনুধাবন করার চেষ্টা করছে, কিভাবে ওই আলোক বিন্দুগুলি সৃষ্টি হলো, কত দূরেই বা তাদের অবস্থান, কিভাবেই বা আমাদের বাসস্থান এই পৃথিবী আবির্ভূত হলো?
.
বর্তমানে বিজ্ঞান বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের পর্যবেক্ষণে এ পর্যন্ত ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ আবিষ্কৃত হয়েছে, প্রত্যেক নক্ষত্রপুঞ্জে ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। কত গ্রহ ওই নক্ষত্রগুলি প্রদক্ষিণ করছে তা অনিশ্চিত, তবে কেবল একটি গ্রহে জীব-বৈচিত্র্যের বিবর্তন ঘটেছে, আর তা হল এই পৃথিবী। পৃথিবীর মানুষ প্রায় আড়াই হাজার বৎসর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে।
.
এই দিকে বিশ শতকের শুরুতে সৃষ্টি-তত্ত্ব ছিল অনুমান নির্ভর। তারপর পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যায় নতুন নতুন আবিষ্কার বিশ্ব-তত্ত্বকে বিজ্ঞানের এক প্রাণবন্ত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে। সমগ্র বিংশ শতাব্দীতে সৃষ্টি-তত্ত্ববিদরা এক বিশদ ধারণার উন্নয়ন করে যা মহাবিশ্বের সূচনা এবং বিবর্তনের বিবরণ দেয়। বিগ ব্যাং থিউরি। কিন্তু বিগ থিউরি নিখুঁত বা পূর্ণাঙ্গ তত্ত্ব নয়। বিগ ব্যাং থিউরি মহাবিশ্বের উৎস সম্পর্কে আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেয় না। তা হলে কোথা থেকে এ মহাবিশ্বের আবির্ভাব ঘটেছে? এর উত্তর নিয়েই বক্ষ্যমাণ বইটি।
বিগ ব্যাং ও মহাবিশ্বের আবির্ভাব
লেখক : প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী
প্রকাশক : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
500 ৳ Original price was: 500 ৳ .350 ৳ Current price is: 350 ৳ .
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী
M.Sc, Ph.D. C.Chem, F.R.S.C ১৯৩৮ সালে পঞ্চগড়ের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কৃতিত্বের সঙ্গে লেখাপড়া শেষ করে তিনি ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি নরওয়ে যান এবং ১৯৭১ সালে অসলো ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন (Ph.D) এবং ডিপ্লোমা অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি পুনরায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ২০০৩ পর্যন্ত অধ্যাপনার কাজে রত থাকেন। এরই মধ্যে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এখানেও তিনি চার বছর গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বহু দেশ ভ্রমণ করেন। তার সহধর্মীনির নাম ফিরোজা বেগম। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক।