মুফাস্সিরিনে কেরাম বলেছেন, জান্নাতি বান্দারা তখন জান্নাতের নিকটে পৌঁছবে, তখন তাদের সম্মানে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে যাবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, জান্নাতিদের জন্য দরজা আগে থেকেই খোলা রাখা হবে। রীতিমতো আয়োজন করে জান্নাতিদের বরণ করে নেওয়া হবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাফায়াতের পরই জান্নাতিরা নির্ধারিত হয়ে যাবে। তখন থেকেই জান্নাতের দরজাগুলো খোলা থাকবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন অনেকবার শাফায়াত করবেন। তার মধ্যে একটি হলো, তিনি জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জান্নাতের দরজায় সবার আগে করাঘাত করবেন।
হযরত আনাস বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোজ হাশরের দিন আমার উম্মতের সংখ্যাই সর্বাধিক হবে এবং আমি সবার আগে জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়ব। তখন ভেতর থেকে প্রহরীরা বলবে, কে? বলব, আমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। দরজা খুলে দিন। তখন তারা বলবে, জি, আমাদের এমনই হুকুম দেওয়া আছে যে, কেবল আপনি বললেই আমরা দরজা খুলে দেব।
Reviews
There are no reviews yet.