বর্ণনার সারল্যে সাবের চৌধুরী অসম্ভব সুন্দর যে নান্দনিকতাটি ফুটিয়ে তুলেন, এ তার গদ্যকে অনন্য এক মাধুর্যে বিশিষ্ট করেছে। সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ-ক্ষমতা আর সংবেদনশীল একটি হৃদয়ের যৌথ উপস্থিতি তার ভাষাকে দিয়েছে সুষমা, বক্তব্যকে করেছে ঐশ্বর্যশীল। ধ্যানী শিকারীর মতো ছিপ ফেলে জীবনের গভীর হতে তিনি যে শব্দ ও দৃশ্য, চিন্তা ও অনুভব তুলে আনেন, তা পাঠককে বিহ্বল করে আনন্দে ও ভালো লাগায়। তার গদ্য পড়লে সহজেই টের পাওয়া যায়—এখানে একটি উচ্ছল প্রাণপ্রবাহ চোরা স্রোতের মতো বয়ে চলেছে হরফের অন্তরালে। লেখক যে জীবনকে যাপন করেন নিমগ্ন হয়ে সচেতনভাবে, এ বই তারই শিল্পিত প্রকাশ।
পুরো বইটি তিনি সাজিয়েছেন মোট চারটি পর্বে৷
প্রথম পর্ব—তরঙ্গ : এতে আছে তার বিচিত্র বর্ণিল স্মৃতিকথা, স্মৃতিকাতরতা ও স্মৃতির সংশ্লেষ।
দ্বিতীয় পর্ব—নির্ঝর : শব্দ বাক্য ও ভাষা তার চৈতন্যে যে আলোড়ন তোলে, এখানে মনোরম এক গদ্যে বলেছেন সেসব কথা৷ শব্দ ও কথা কীভাবে আমাদের জীবনকে ধারণ করে, পূর্ণ করে, ভাঙে ও বিশ্লিষ্ট করে এই অনুভব পাঠককে মোহিত করবে, এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
তৃতীয় পর্ব-অববাহিকা : এখানে আছে সহজ জীবন দর্শনের নানা টুকরো, চিন্তা ও অভিজ্ঞতা, দেশ ধর্ম ও সমাজ চেতনা।
শেষ পর্ব—কোলাহল : কোমলমতি স্বর্গীয় শিশুদের নিয়ে লেখকের হৃদয় রাজ্যটি বড় মনোরম। তিনি মনে করেন একটি শিশু সত্যিকার অর্থে একটি জীবন্ত কবিতার মতো। আপন অভিজ্ঞতার আলোকে সেই অনুভব ও অবলোকনকে তিনি ব্যাখ্যা করেছে এখানে, পরম মমতায়, স্নেহে ও আকুলতায়।
Reviews
There are no reviews yet.