বিরূপ পরিবেশে থাকতে থাকতে একটা সময় মানুষ সেই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে যায়। একজন নেককার মানুষও কোনো কারণে কিছুদিন গুনাহের পরিবেশে থাকলে ধীরে ধীরে এর সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। পর্দানশীন মানুষ বেপর্দা পরিবেশে অবস্থান করলে তার পর্দা-অনুভূতি লোপ পেতে থাকে। একসময় সব স্বাভাবিক মনে হয়। ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত পরিবেশেও যখন একজন মানুষ সময় কাটাতে থাকে, ধীরে ধীরে অশ্লীলতা, মিউজিক ইত্যাদিতে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাজা অনুভূতিও দ্রুতই মরে যায়।
স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সাথে এতদিনের সম্পর্কের পর এখন নতুন করে আমাদের ভাবতে হবে—স্মার্টফোন কি বাস্তবেই আমার জন্য জরুরি? কতটা জরুরি? নিজের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে—আমার সন্তানের হাতে কেন আমি এই ভয়াবহ ডিভাইস তুলে দিচ্ছি, যেখানে কিশোর-তরুণদের বড় অংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত?
একান্ত যারা অনলাইন-কেন্দ্রিক পেশায় জড়িত, তারা ছাড়া বাকিরা নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দুনিয়া-আখিরাত নিরাপদ রাখতে চাইলে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চিন্তা করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। কারণ, এই আত্মঘাতী অভ্যাস আমাদের ঈমান ও চরিত্রকে শেষ করে ফেলছে। রক্ষণশীলতা আর পবিত্রতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এই বইতে বিভিন্ন সময় আমাদের চিন্তার দুয়ারে আঘাত করা সমস্যাগুলোকে বিন্যস্ত করে তুলে ধরা হয়েছে কেবল। এতে এমন কিছু হয়তো পাওয়া নাও যেতে পারে, যা আমরা মোটেই জানি না। তবে একসাথে পুরো আলোচনাটা হয়তো আমাদের কিছুটা হলেও ভাবাবে।
**
ছোট শিশুদের চরিত্র নষ্ট হচ্ছে।
বুড়ো মানুষগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে অশ্লীলতায় ডুব দিচ্ছে।
পর্দানশীন নারীরা দুশ্চরিত্র হচ্ছে।
নেককার চোখনিচু মানুষটা রাত কাটাচ্ছে পাপাচারে।
যাকেরীন-শাকেরীন বারেবার হোঁচট খাচ্ছেন। চোখের গুনাহে ডুবে যাচ্ছেন।বাড়ছে ধর্ষণ!
বাড়ছে কলুষতা।নুরানি দিলগুলো কালো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। টুকটাক সাবধানতা আর তাওবা, এর বেশি কিছুই করার নেই।সয়ে যেতেই হবে।বৃদ্ধ পিতার হাতে স্মার্টফোন।
অবুঝ নানির হাতে স্মার্টফোন।
কচি শিশুর হাতেও স্মার্টফোন।এ থেকে মুক্তি নেই। কিছু বলাও যাচ্ছে না। থামানো সম্ভব না। ইন্টারনেট বড্ড জরুরি আমাদের। এ ছাড়া আর চলছে না। খুব উপকারী।
আহা। এ যেন কারাবাস।
বুড়ো মানুষগুলো লুকিয়ে লুকিয়ে অশ্লীলতায় ডুব দিচ্ছে।
পর্দানশীন নারীরা দুশ্চরিত্র হচ্ছে।
নেককার চোখনিচু মানুষটা রাত কাটাচ্ছে পাপাচারে।
যাকেরীন-শাকেরীন বারেবার হোঁচট খাচ্ছেন। চোখের গুনাহে ডুবে যাচ্ছেন।বাড়ছে ধর্ষণ!
বাড়ছে কলুষতা।নুরানি দিলগুলো কালো হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। টুকটাক সাবধানতা আর তাওবা, এর বেশি কিছুই করার নেই।সয়ে যেতেই হবে।বৃদ্ধ পিতার হাতে স্মার্টফোন।
অবুঝ নানির হাতে স্মার্টফোন।
কচি শিশুর হাতেও স্মার্টফোন।এ থেকে মুক্তি নেই। কিছু বলাও যাচ্ছে না। থামানো সম্ভব না। ইন্টারনেট বড্ড জরুরি আমাদের। এ ছাড়া আর চলছে না। খুব উপকারী।
আহা। এ যেন কারাবাস।
কল্পিত কারাবাস বইটির ফ্রি পিডিএফ অফিসিয়ালি অনুমোদিত নয়।
কল্পিত কারাবাস বইটি পড়ে রিভিউ সেকশনে রিভিউ দিয়ে অপরকে উৎসাহিত করুন।
Reviews
There are no reviews yet.