ওয়াস্ সালাতু ওয়াস সালামু আলা নাবিয়ািনা মুহাম্মাদ (সা.)
মহানবী (সা.)-এর ওফাতের পর খোলাফায়ে রাশেদীগণ ইসলামি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তারা ইসলামকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করেছেন। হযরত আবু বকর (রা.) যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও ভণ্নবীদের দমনের মাধ্যমে ইসলামী খিলাফত অক্ষুণ্ন রখেছেন। হযরত ওমর (রা.) প্রায় অর্ধ পৃথিবীতে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। জামেউল কুরআন হিসেবে পরিচিত হযরত উসমান (রা.) সুদীর্ঘ সময় ইসলামী রাষ্ট্রে ন্যায় ও শান্তির শাসন কায়েম করেছেন। হযরত আলী (রা.) ওসমান হত্যার বিচারের দাবীতে উত্তাল মুসলিম মিল্লাতকে এক্যবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছেন। পরবততীতে খিলাফতের স্থলে রাজতন্ত্র চালু হয়। হযরত ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.) পুণরায় ইসলামি খিলাফতের শাসন ফিরিয়ে আনেন। তাই তীকে ইসলামের পঞ্চম খলিফা বলা হয়। এভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দেখানো পথ অনুসরণ করে খোলাফায়ে রাশেদীনেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তাদের সুদীর্ঘ জীবনে রয়েছে নানা শিক্ষণীয় ঘটনা, যা আমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ। সুতরাং আজকের এ সমাজে শান্তি জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তাদের আদর্শ অনুসরণ করা আমাদের কর্তব্য । রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত অনুসরণ করা এবং সুপৎগ্রাপ্ত খলিফাদের সুন্নাত অনুসরণ করা” (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৪২)।
রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে পরবর্তী চার খলিফা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, তাই তাদের শাসনামলকে “খিলাফাত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ’ বা ‘আল খিলাফাতুর রাশিদা” বলা হয়। এ গ্রন্থে ইসলামের চার খলিফাসহ নবী দৌহিত্র হাসান-হোসাইন (রা.) এবং পঞ্চম খলিফা হিসেবে স্বীকৃত ওমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.)-এর জীবনে ঘটে যাওয়া মহামূল্যবান ঘটনাবলি সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। যে ঘটনাগুলো কোনো ব্যক্তির জীবনকে সুন্দর করে সাজানোর ক্ষেত্রে পরশ পাথরের মতো কাজ করবে। এসকল জীবনকাল মূল্যায়ন করলে ইসলাম ও বিশ্বমানবতার একজন সত্যনিষ্ঠ সেবক এবং ইসলামের পুমা? এক মহামানবের প্রতিচ্ছবি ফুটে।
এ খ্ন্থ সংকলনে ইসলামী চিন্তাবিদগণের লিখনী নানাভাবে আমাকে উপকৃত করেছে। তাদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।
পাঠক সমাজের যেকোনো ইতিবাচক সমালোচনা সাদরে গৃহিত হবে। এ গ্রন্থের সকল ভূল-ক্রটি ক্ষমা মাগফিরাত কামনা করছি।
মোহাম্মদ নাছের উদ্দিন ১৫.০১.২০৮
Reviews
There are no reviews yet.