হুজুরদের আবার ভালোবাসা আছে? তারা তো সারাজীবন প্রেম-ভালোবাসার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। তাহলে হঠাৎ করে কীভাবে তাদের মধ্যে এই ভালোবাসার সঞ্চার হলো? তারা তো ১৪ই ফেব্রুয়ারি ‘ভালোবাসা দিবস’কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। তরুণ-তরুণীদের ফষ্টিনষ্টি করতে দেখলে তদের গায়ে আগুন জ্বলে ওঠে। এমন নিষিদ্ধ ভালোবাসার কথা শুনলেই বলে ওঠেন—এসব পশ্চিমা সভ্যতার বস্তাপচা আবর্জনা। তাহলে ‘ভালোবাসা’ শব্দটা কি তাদের মুখে মানায়?
হ্যাঁ, এই রকম ভালোবাসার কথা তাদের মুখে মানায় না। তারা মূলত বিযে-বহির্ভূত অবৈধ ভালোবাসার বিরুদ্ধেই কথা বলেন; বৈধ ভালোবাসায় কিন্তু কখনো বাধ সাধেন না । পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে তারা কখনো বাধা দেন না। বলা যায়, বিনা পারিশ্রমিকে হুজুররা পবিত্র ভালোবাসার কথা বলে বেড়ান। সময়ের ভুল স্রোতে গা ভাসিয়ে দেন না কখনো। তাই বলে কি তারা অসামাজিক? না, কখনোই না। তারা তো সবসময় প্রকৃতিগত, মৌলিক ও ভালোবাসাময় একটি সমাজের প্রবক্তা। শুদ্ধতাদের ভালোবাসা ইমানের দাবি মেনে চলে। তাই তা পবিত্র। বিপরীতে পশ্চিমা সভ্যতায় বিশ্বাসীদের অবৈধ ভালোবাসার উৎসস্থল নোংরামি, বেলেল্লাপনা ও প্রবৃত্তির চাহিদা চরিতার্থ করার গোপন মনোবাসনা তাই তা অপবিত্র, ঘৃণিত। তাদের ভালোবাসার মূল ভিত্তিই হচ্ছে অশ্লীলতা। তাই এর ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু ইসলাম অনুসরণকারী হুজুরদের ভালোবাসা একটি সুস্থ সমাজ-গঠন-কেন্দ্রিক। তাই এর ফলাফল নান্দনিক, চমৎকার, মনোজ্ঞ। তারা অবৈধ ভালোবাসায় নিমজ্জিতদের বৈধতার পথ দেখান। হারামে লিপ্ত হয়ে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঝুঁকে পড়া ব্যক্তিদের ভালোবেসে কাছে টেনে নেন। তাদের অনুভূতিশূন্য অতিষ্ঠ জীবনকে নতুন করে ভালোবাসতে শেখান। ধসে পড়া সমাজব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তোলার পথ দেখান। সামাজিক অসঙ্গতিগুলো দূরীকরণের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকেন সর্বদা।
Reviews
There are no reviews yet.