পার্থিব ধূলিমালিন্যকে নিচে ফেলে উজ্জ্বল শুকতারার মতো জাতিবর্ণের বহু ঊর্ধ্বে মানবিকতার দিকে সকলের অখণ্ড মনোযোগকে আকৃষ্ট করলেন তিনি। বাদলপোকার মতো যে ক্ষণজীবী ভাবনারা সেই লোকগুলোর মানসিকতায় উৎপাতের মতো সমানে ফরফর করছিল, বজ্রের ঝলকানিতে তাদের হাত-পা-ডানাগুলো পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল চিরদিনের মতো। সেই নির্ঘোষ থেমে গেছে। বিচ্ছিন্ন চেতনাগুলো আবার একসাথে একজোট হয়ে অনেক কুলীন সম্ভ্রম চোখে নিয়ে ফিরে এলো সেই জ্যোৎস্নাপ্লাবিত মুখের চারপাশে। সেই প্রশান্ত মিতবাক মুখে তখন হিরার ধ্যানগম্ভীর মৌনতা।
তাঁর চারপাশ ঘিরে নিশীথ বনরাজির বিস্ময়কর নির্জনতা বেজে যাচ্ছিল তখন। সকলে অনুভব করলেন⸺সেই নিশীথ অরণ্যের বিপুল শীর্ষদেশে অস্পষ্ট ধ্বনিপুঞ্জের ওপর আর এক প্রতিধ্বনি, কী এক মহান বারতার মতো অবিরাম ঝরে পড়ছে। হঠাৎ ঘর আলো হওয়ার মতো সকলে দেখতে পেলেন, এসব কথাবার্তা বর্তমানকে অতিক্রম করে আর এক অনন্ত কিছুর দিকে ঝুঁকে আছে।..
অনন্তের দিকে (সিরাত সিরিজ-৬)
লেখক : আবদুল আযীয আল আমান
প্রকাশক : দারুল ইলম
190 ৳ 114 ৳
বই | অনন্তের দিকে (সিরাত সিরিজ-৬) |
---|---|
লেখক | |
প্রকাশক | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 112 |
বাঁধাই | হার্ডকভার |
সংস্করণ | ১ম সংস্করণ, ২০২২ |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |

আবদুল আযীয আল আমান
নজরুল-পরবর্তী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্য ও শ্রেষ্ঠ গদ্যকার, আবদুল আযীয আল আমান। জন্মেছেন কলকাতার চব্বিশ পরগনায়। ১৯৩২ সালের ১০ মার্চ। লেখাপড়ার হাতেখড়ি গ্রামের নিজস্ব পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.। শিক্ষকতা ও অধ্যাপনা করেছেন গার্ডেন রীচ কলেজ ও ঢাকার জগন্নাথে। লেখালেখির সাথে যুক্ত হয়েছেন ছাত্রজীবনেই। তখনই লিখেছেন বিখ্যাত বই ‘পদক্ষেপ’। নিজ সম্পাদিত ‘জাগরণ’ ও ‘কাফেলা’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে ঘনিষ্টতা গড়ে ওঠে সমকালীন শ্রেষ্ঠ লেখকদের সাথে। কবি নজরুলের লেখা নিয়ে নতুন ভাবনা ও পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধের বই মিলিয়ে লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি। ১৯৮৩ সালে সস্ত্রীক পবিত্র হজ সম্পাদনার পর শুরু করেন বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক ‘কাবার পথে’ রচনা। ১৯৮৭-তে শুরু হয় বহু আকাঙ্ক্ষিত সিরাতগ্রন্থ রচনা ‘রাসূলুল্লাহ সা’। এই সময়ই লেখক নিজেকে বহির্জগত থেকে গুটিয়ে নিয়ে ‘দ্বীনি অধ্যয়ন’ ও লেখালেখিতে আবদ্ধ রাখেন। ১৯৯৪-এ মাদরাজে চোখের অপারেশনের আগ-মুহূর্তে নভেম্বরে লেখেন জীবনের শেষ প্রবন্ধ (যা ‘মাসিক মদীনা’তে মুদ্রিত হয়েছিল) ‘রাসূলুল্লাহ সা.-এর বিনয়’। ১৯৯৪-এর ১ লা ডিসেম্বর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লেখক এবং এ দিনই সকাল ১১:৫৫ মিনিটে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দেন।
Reviews
There are no reviews yet.