জাহেলী যুগে নারীদের কোন মানমর্যাদা ছিল না। কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে শুনলেই চেহারা কালো হয়ে যেত। তারা কন্যাসন্তানকে মাটিতে জীবন্ত দাফন করে দিত।সে যুগে কন্যা সন্তানকে নায্য অধিকার ও মিরাসের অংশ থেকে বঞ্চিত করা হতো।বর্তমান জাহিলি যুগের নারীকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।অথচ ইসলাম নারীকে তার যথার্থ মর্যাদা ও প্রাপ্য অধিকার প্রদান করেছে মা, স্ত্রী, কন্যা ও বোনরূপে।
আধুনিক যুগেও যৌন বিলাস এর জন্য ভোগ পণ্যের মত নারীর সস্তা বাজার রমরমা। মোহর না দিয়ে উল্টো তাদের কাছে যৌতুক দাবি করা হচ্ছে। যৌথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্ভিন্ন যৌবনারা পর্দার পর্দাকে মন থেকে ছিন্ন করে ফেলেছে। বৃদ্ধা হলে তার স্থান হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম।
অনেক মুসলিম দেশে আইন করে পর্দা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।নারীবাদী লেখক লেখিকা নারী স্বাধীনতার নামে জরায়ু স্বাধীনতার প্রচার ও প্রসারের পর্দার নিন্দা করে চলেছে। ‘নারী স্বাধীনতা’র নামে তারা ‘যৌন স্বাধীনতা’ দিয়ে নারীদেরকে নিজেদের যৌন খোঁয়াড়ে বন্দী করেছে। তারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তা প্রচার করে। সেই যৌন স্বাধীন-তার চিন্তাধারা মুসলিম উম্মাহর মাঝে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন শুষ্ক কাশফুলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
যাদের বুকে এখনো ঈমানের পিদিম জ্বলছে, তাদের সতর্কতার জন্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আল্লাহ যেন পাঠক-পাঠিকার মন থেকে মুনাফিকি, সন্দেহ, গাফিলতি,উন্নাসিকতা ও অবহেলার পর্দা সরিয়ে দিয়ে তাদের পরিবারে পর্দার বিধান প্রতিষ্ঠা করে দেন। আমিন
Reviews
There are no reviews yet.