বইটির কিছু অনন্য দিক
১-লেখক গ্রন্থটিকে খুবই চমৎকারভাবে সূচনা করেছেন।প্রথমেই লেখক ইলমের পরিচয় ও ক্রমবিকাশের আলোচনা করেছেন। এরপর কুরআন নিয়ে খুবই তথ্যবহুল একটি ভূমিকা লিখেছেন।
২- কুরআনের সংজ্ঞা, হাদিসে কুদসির সংজ্ঞা, হাদিসে নববি তথা সাধারণ হাদিসের সংজ্ঞা, কুরআনের নামসমূহ ও গুণাবলি এবং এর সাথে সাথে কুরআন এবং হাদিসে কুদসির মাঝে পার্থক্য ও হাদিসে কুদসি এবং সাধারণ হাদিসের মাঝে পার্থক্য তথ্যবহুলভাবে বর্ণনা করেছেন।
৩- ওহির সূচনা, ওহি অবতীর্ণের সম্ভাব্যতা, জিবরিল আমিনের নবিগণের নিকটে ওহি নিয়ে আগমন করার প্রকৃতি, ওহির অর্থ ও মর্ম , এবং ওহি অবতীর্ণ হওয়া নিয়ে নাস্তিক-মুরদাদ ,দার্শনিক , বৈজ্ঞানিক ও সংশয়বাদীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও এগুলোর সমুচিত জবাব পেশ করেছেন।
৪-গ্রন্থটিতে মাক্কি-মাদানি আয়াতের পরিচয় তথা কোন আয়াত মক্কায় এবং কোন আয়াত মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং মাক্কি-মাদানি চিনাজানা ও বোঝার মূলনীতি এবং মাক্কি ও মাদানি আয়াতের বৈশিষ্ট্যসহ কোন আয়াত আগে এবং কোন আয়াত পরে এবং বিষয়বস্তুর দিক থেকে কোন আয়াত কোথায় কখন কিভাবে নাযিল হয়েছে এগুলোকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
৫-শানে নুযুল ও এর সাথে সম্পৃক্ত বিষয়গুলো তথা, শানে নুযুল বর্ণিত হওয়ার শব্দ, এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবতীর্ণ আয়াতের সংখ্যা, শানে নুুযুলের ব্যাপারে উল্লেখিত রেওয়াতের সংখ্যা, শানে নুুযুল কি তার প্রেক্ষাপটের সাথেই নির্দিষ্ট ? শানে নুুযুল একটি হওয়া সত্ত্বেও একাধিক বর্ণনা উল্লেখিত হওয়া এবং শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে শানে নুুযুল জানার প্রভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গ্রন্থটিতে সুগভীর আলোচনা করা হয়েছে।
৬- কুরআন অবতরণ সংক্রান্ত বিষয় তথা সমস্ত কুরআন একত্রে নাযিল হওয়া ও ধারাবাহিকতার সাথে ধীরে ধীরে প্রয়োজন অনুপাতে নাযিল হওয়া ও এভাবে নাযিল হওয়ার হিকমত নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা করেছেন।।
৭-কুরআন সংকলনের ইতিহাস অর্থাৎ নববি যুগে কুরআন এবং চার খলিফার যুগে কুরআন সংকলন ও বিন্যাস , সুরা এবং আয়াতসমূহের বিন্যাস, রসমে উসমানি , আয়াতের শুরু ও শেষ , হজরত আবু বকর রা.এর সময়ে সংকলিত মুসহাফ ও উসমান রা.এর যুগে সংকলিত মুসহাফের মাঝে পার্থক্য এসব নিয়ে মর্মস্পর্শী আলোচনা পেশ করেছেন।
৮- কুরআন সাত হরফে নাযিল হওয়া, এবং এর উদ্দেশ্য ও মর্ম নিয়ে উলামায়ে কিরামের মতানৈক্য ও এর গ্রহণযোগ্য মত এবং কুরআন সাত অক্ষরে অবতীর্ণ হওয়ার হিকমত ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে।
৯-কারী এবং কিরআত সংক্রান্ত আলোচনা তথা কিরআতের প্রকার, বিধান এবং মূলনীতি, তাজবিদ, কুরআন তিলওয়াতের আদব এবং কুরআন শিক্ষা দিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার বিধান নিয়ে গ্রন্থটিতে সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।
১০-একজন মুফাস্সিরের তথা তাফসিরবিদের জন্য ইলমের যেসমস্ত শাখায় পারদর্শী হওয়া একান্ত জরুরি সেগুলো তথা নাহু,সরফ,অর্থাৎ কোন শব্দটি সর্বনাম, কোনটি ক্রিয়া, কোনটি নির্দিষ্ট শব্দ কোনটি অনির্দিষ্ট , কোনটি একবচন কোনটি বহুবচন, কোনটি সমার্থবোধক শব্দ কোনটি নয় এবং বালাগাত , ফাসাফাত , মুহকাম ও মুতাশাবিহ আয়াত চেনার উপায় , কুরআনের কোন শব্দটি আম তথা ব্যাপক কোন শব্দটি খাস তথা নির্দিষ্ট , কোন শব্দটি মুতলাক তথা শর্তহীন ও কোন শব্দটি মুকাইয়িদ তথা শর্তযুক্ত কোন আয়াতটি নাসিক ও কোন আয়াতটি মানসুখ এবং এগুলোর পরিচয়, প্রকার , সংজ্ঞা ও উদ্দেশ্যকে সুস্পষ্টভাবে পাঠকদের সামনে চমৎকারভাবে সহজসরল করে তুলে ধরার জন্য লেখক গ্রন্থটিতে উপরিউক্ত সবগুলোর উদাহরণ উল্লেখ করেছেন।
১১-লেখক সতন্ত্র অধ্যায় কায়েম করে ইজাযুল কুরআন ( কুরআনের মুজিযা) তথা কুরআন অক্ষমকারী হওয়ার বিষয়টি আলোচনা করেছেন। এতে লেখক কুরআনের শব্দগত অলৌকিক দিক এবং জ্ঞানগত অলৌকিক দিক ও বিধানগত অলৌকিক দিকসহ কুরআনের কতটুকু অংশ অলৌকিক এনিয়ে অত্যন্ত সারগর্ভ আলোচনা করেছেন।
১২-এরপর আমসালুল কুরআন তথা উপমার শৈল্পিকতায় কুরআনের অলৌকিক দিক, এর সংজ্ঞা, উপকারিতা, কুরআনে উল্লেখিত উপমার প্রকার এবং কুরআনের আয়াতকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করার বিধান নিয়ে আলোচনা করেছেন।
১৩- উলুমুল কুরআন তথা কুরআন অধ্যায়নের মূলনীতির সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত বিষয় তথা আকসামুল কুরআন(কুরআনের শপথসমূহ) জাদালুল কুরআন (কুরআনের তর্কশাস্ত্র) ও কাসাসুল কুরআন তথা কুরআনে উল্লেখিত ঘটনা ইত্যাদির পরিচয়, সংজ্ঞা, উপকারিতা ও উদাহরণ লেখক রা.অত্যন্ত পরিপটির সাথে বিষয়গুলো অভিনব ভঙ্গিতে পেশ করেছেন।
১৪- এরপর তরজমাতুল কুরআনের অধীনে কুরআনের আক্ষরিক অনুবাদ, কুরআনের শাব্দিক অনুবাব এবং ব্যাখ্যামূলক অনুবাদ নিয়ে এবং এগুলোর বিধান নিয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করা হয়েছে।
১৫-অতঃপর তাফসির, তাবিল এবং উভয়ের মাঝে পার্থক্য ও উভয়টির আভিধানিক ও পারিভাষিক সংজ্ঞা উল্লেখ করে মুফাস্সির তথা কুরআনের গবেষক হওয়ার জন্য কি কি শর্ত ও আদবসমূহ , নববি যুগে ও সাহাবি তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়ি থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত লিখিত তাফসির ও মুফাস্সির এবং তাফসির বিল মাসুর (তথা কুরআনের তাফসীর কুরআন বা হাদিস দিয়ে করা) ও তাফসির বিল রায় (তথা আকল দিয়ে তাফসীর করা) ও তাফসিরের অন্যান্য প্রকার নিয়ে গ্রন্থটিতে যুৎসই আলোচনা করা হয়েছে।
১৬-এরপর তাফসির বিল মাসুর ও তাফসির বিল রায় নিয়ে লিখিত গ্রন্থাবলি ও লেখকদের পরিচয় এবং যারা বর্তমান সময়ে বিষয়ভিত্তিক তাফসির গ্রন্থ রচনা করেছেন তাদের পরিচয় ও তাদের লিখিত তাফসিরের যথাযথ মূল্যায়ন অত্যন্ত যত্নের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
.
মোটকথা, বলা যায় লেখক রাহ.উলুমুল কুরআন তথা কুরআন অধ্যায়নের মূলনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন কোনো ইলম গ্রন্থটিতে উল্লেখ করতে কার্পণ্য করেননি। বরং উলুমুল কুরআন সম্পৃক্ত সকল আলোচনা তিনি যথাযথভাবে সুস্পষ্ট করে তাত্ত্বিক আলোচনা উল্লেখ করেছেন।
পরিশেষে শুধু এতোটুকুই বলবো- উপরের আলোচনার মাধ্যমে একটি সমুদ্রের বর্ণনা দিয়েছি মাত্র। যারা উলমুল কুরআনের গভীর সমুদ্রে অবগাহন করতে চায় তাদের জন্য শাইখ মান্না‘আ আল-কাত্তান রাহ.রচিত গ্রন্থটি আদ্যোপান্ত অধ্যয়ন করা অবশ্য কর্তব্য!
প্রিন্সিপলস অব কুরআন
লেখক : শাইখ মান্না‘আ আল-কাত্তান
প্রকাশক : মাকতাবাতুস সুন্নাহ
বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা
1,400 ৳ Original price was: 1,400 ৳ .700 ৳ Current price is: 700 ৳ .
প্রতি অর্ডারে থাকছে আকর্ষণীয় Bookmark ফ্রি!
বই | প্রিন্সিপলস অব কুরআন |
---|---|
লেখক | |
অনুবাদ | |
প্রকাশক | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 736 |
বাঁধাই | হার্ডকভার |
সংস্করণ | ১ম সংস্করণ, ২০২২ |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
Related products
-50%
মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ
-50%
মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবরাহীম
Reviews
There are no reviews yet.