‘বার হিজরি শতকে সময় নতুন গতিধারা গ্রহণ করেছিলো। যুক্তিবাদিতার ধারা বেগবান হয়ে ওঠেছিলো। দ্বীনকে সময়ের ভাষায় উপস্থাপন করা অতিপ্রয়োজন হয়ে পড়েছিলো। তাই শাহ সাহেবকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ইলহাম করা হয়, এখন পৃথিবীকে পুনরায় আল্লাহর নূর দ্বারা আলোকিত করার সময়। এখনই দ্বীনের আলোকময় কথামালা উচ্চকিত করার সময়। আবারো শরিয়তে মুহাম্মাদিকে নতুন শান, উপস্থাপনায় ও ঔজ্জ্বল্যে নতুন ধারায় সাজিয়ে তোলার এখনই সময়। যেন শরিয়তের বিষয়-বিধানসমূহ নতুন পোশাকে সাজিয়ে মানুষের নিকট উপস্থাপিত হয়। যেভাবে সূর্য ডোবার সময় মেঘের আড়াল থেকে তা আরেকবার আলো ঝলমল হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি আখেরি জমানায় ইসলাম নতুন শান ও সাজে শিরোন্নত হয়ে ওঠবে। আর তাকদিরের কলম এ কথা লিখে রেখেছিলো, এই সেবাটুকু শাহ সাহেবের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে। সেই ইলহামের বাস্তব অবয়ব হচ্ছে এই গ্রন্থ—হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা—যার ব্যাখ্যাগ্রন্থ এই রাহমাতুল্লাহিল ওয়াসিয়া।’ এ কথা লিখেছেন মুফতি সাঈদ আহমাদ পালনপুরি রাহ. এই গ্রন্থের ভূমিকায়।
হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা সম্বন্ধে মাওলানা মনযূর নোমানি রাহ. বলেছেন : ‘আমি জীবনে মানব রচিত কোন গ্রন্থ দ্বারা এত উপকৃত হইনি যত উপকৃত হয়েছি এই গ্রন্থ দ্বারা। আমি ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা ও সমগ্রতা সম্বন্ধে এই গ্রন্থের সাহায্যে যথার্থ ধারণা লাভ করেছি। এর আগে ইসলামের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেবল মুকাল্লিদ হিসেবে মানতাম। কিন্তু এই গ্রন্থ পাঠ করার পর সেই বিষয়গুলোর তাৎপর্য সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান ও বুৎপত্তি অর্জন করি। এখন আমি সেগুলোর কেবল মুকাল্লিদ নই, বরং সেগুলোর সুগভীর তাৎপর্য সম্বন্ধেও স্পষ্ট ধারণা রাখি।’
সাইয়েদ আবুল হাসান আলি মিয়া নদবি রাহ. এই কিতাব প্রসঙ্গে লিখেছেন : ‘শাহ সাহেব রাহ. রচিত এই অতুল গ্রন্থখানা আমাদের প্রিয় নবি সা.-এর এমন এক মুজিজা যা তার তিরধানের পরে তার উম্মতের হাতে প্রকাশ পেয়েছে। যার দ্বারা সেই সময়ে প্রিয় নবি সা.-এর সর্বশ্রেষ্ঠত্ব ও দ্বীনের অকাট্য দলিলাদি দেদীপ্য ও পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হয়েছে।’
রাহমাতু্ল্লাহিল ওয়াসিয়া বইটির ফ্রি পিডিএফ অফিসিয়ালি অনুমোদিত নয়।
রাহমাতু্ল্লাহিল ওয়াসিয়া বইটি পড়ে রিভিউ সেকশনে রিভিউ দিয়ে অপরকে উৎসাহিত করুন।
Reviews
There are no reviews yet.