আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাইয়্যেদুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যিন রাহমাতুল লিল আলামীন করে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কুরআন কারীমের ভাষায়, তিনি হচ্ছেন সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদানকারী, সতর্ককারী, আল্লাহর অনুমতিক্রমে তার দিকে আহ্বানকারী এবং উজ্জ্বল বাতি। আল্লাহর মনোনীত পথ তথা সিরাতে মুস্তাকিমের দিকে মানুষদেরকে আহ্বানের দায়িত্বপ্রাপ্তির সৌভাগ্য তিনি লাভ করেছেন। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করা এবং তাঁর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে সত্য দীন এবং আল কুরআন নিয়ে তিনি এসেছেন। পথভ্রষ্টতার অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষগুলোকে হেদায়াতের আলোর দিকে বের করে নিয়ে আসার মহান দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন। এ অর্পিত দায়িত্ব দীর্ঘ তেইশ বছর তিনি এমনভাবে পালন করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে ঘোষণা দিয়েছেন, “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দীন পরিপূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত ও পূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্যে জীবনবিধান হিসেবে আমি ইসলামকেই পছন্দ করলাম।” (সূরা ৫; মায়িদা ৩)
আল্লাহর রহমত, দয়া এবং অনুগ্রহের পাশাপাশি প্রিয় নবীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর তাঁর অসংখ্য সম্মানিত সাহাবীর আত্মত্যাগই এ সফলতা এনে দিয়েছে। তাঁরা এ দীনকে গ্রহণ করেছেন, শিখেছেন, শিখিয়েছেন, সংরক্ষণ করেছেন। সারা পৃথিবীতে এ দীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দিয়েছেন। এ মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাহাবারা কত দুঃখ-কষ্ট যুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তা লিখতে গেলে পাষাণের হৃদয়ও কেঁপে উঠবে। আম্মার, ইয়াসির, সুমাইয়্যা বেলাল-সহ অসংখ্য সাহাবী ইসলাম কবুল করার কারণে কাফিরদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন। তাঁদের উপর নির্যাতনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তারা নিজ দেশে টিকতে না পেরে ঈমান নিয়ে অন্য দেশে হিজরত করেছেন। মক্কার কাফির কর্তৃক বয়কটের শিকার হয়ে তিন বছর শি‘আবে আবী তালিবে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও তারা ঈমান ছেড়ে দেননি; বরং তাদের ঈমানী শক্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রিয়নবীর সান্নিধ্যে থেকে ওহীর ইল্ম লাভে ধন্য হয়ে রূহানী শক্তিকে তারা এমন এক পর্যায়ে উন্নীত করেছেন পৃথিবীর কোন শক্তিই আর তাদের মোকাবেলা করতে পারেনি। ইসলামের এই ফল্গুধারা মরু সাহারা থেকে প্রবাহিত হয়ে তাদের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে সিক্ত করে দিয়েছে।
দীন প্রতিষ্ঠায় সাহাবায়ে কেরামের ভূমিকা কেমন ছিল, রাসূলের (স) পবিত্র সুন্নাতকে অবিকৃত অবস্থায় পরবর্তীদের নিকট পৌঁছাতে গিয়ে তারা কী করেছেন, কুরআন এবং হাদীসের আলোকে তাঁদের মর্যাদা কতটুকু, তাদের প্রতি আমাদের কেমন আকীদা-বিশ্বাস থাকা উচিত, বাতিলপন্থি শিয়া এবং রাফেজীরা কিভাবে সাহাবাদেরকে অসম্মান করেছে, তাদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছে, এ বিষয়গুলো প্রতিটি মুসলমানের কাছে দ্বিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’ শীর্ষক এ প্রবন্ধে উল্লেখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে সাহাবায়ে কেরামদেরকে নিয়ে যে ধরনের বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হচ্ছে তার আলোচনা ও স্থান পেয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন এ লেখার মাধ্যমে সাহাবীদের যথাযথ মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের সীমালঙ্ঘন থেকে তাদেরকে মুক্ত করার তাওফীক দান করেন। আমীন!
সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা
লেখক : হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
প্রকাশক : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
20 ৳ Original price was: 20 ৳ .14 ৳ Current price is: 14 ৳ .
নাম: সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা
ISBN: 978-984-8927-46-5
বিষয়: আসহাবে রাসূলের জীবন ও কর্ম
লেখক: হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
প্রচ্ছদ: হামিদুল ইসলাম
পৃষ্ঠা: ৩২;
হাফেয মাহমুদুল হাসান মাদানী
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চরসীতা গ্রামের পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয তরীকুল্লাহ, মাতার নাম শাহজাদী বেগম। একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের হিফয সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ মাসরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদীস) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যথাক্রমে- দ্বিতীয়, প্রথম, প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সৌদি সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মোনাওয়ারায় ভর্তি হন এবং ‘তাফসীর ও উলুমুল কুরআন’ বিভাগ থেকে লিসান্স (অনার্স) ও মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে নরসিংদী’র জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে অদ্যবধি একই মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৌদি আরবের রিলিজিয়াস এটাচের অধীনে বাংলাদেশে ‘দাঈ’ হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানমালায় আলোচক ও বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তাঁর রচিত-অনুদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন’ (অনুবাদ), ‘হে আহলে সুন্নাহর অনুসারীগণ! সতর্কতা গ্রহণ করুন’ (অনুবাদ), ‘সহজ তাওহীদ’ (অনুবাদ), ‘হাফেযে কুরআনের গুণাবলি’, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’, ‘ইবাদাতের নামে প্রচলিত কতিপয় বিদ‘আত’, ‘র্শিকের ভয়াবহতা, বিদআত ও উহার মন্দ প্রভাবসমূহ’, ‘একশত দশটি ফযীলত-সহ সূরা কাহফের তাফসীর’ (অনুবাদ, প্রকাশিতব্য)। তার সহধর্মিনীর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চরসীতা গ্রামের পিত্রালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম হাফেয তরীকুল্লাহ, মাতার নাম শাহজাদী বেগম। একাডেমিক ক্লাসের পাশাপাশি কুরআনুল কারীমের হিফয সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ মাসরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদীস) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যথাক্রমে- দ্বিতীয়, প্রথম, প্রথম ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে সৌদি সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর অধ্যয়নের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মোনাওয়ারায় ভর্তি হন এবং ‘তাফসীর ও উলুমুল কুরআন’ বিভাগ থেকে লিসান্স (অনার্স) ও মাস্টার্স-এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে দেশে ফিরে নরসিংদী’র জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে অদ্যবধি একই মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সৌদি আরবের রিলিজিয়াস এটাচের অধীনে বাংলাদেশে ‘দাঈ’ হিসেবে নিযুক্ত আছেন এবং বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেলে ইসলামী অনুষ্ঠানমালায় আলোচক ও বিচারক হিসেবে অংশ নিয়ে থাকেন। তাঁর রচিত-অনুদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘কুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন’ (অনুবাদ), ‘হে আহলে সুন্নাহর অনুসারীগণ! সতর্কতা গ্রহণ করুন’ (অনুবাদ), ‘সহজ তাওহীদ’ (অনুবাদ), ‘হাফেযে কুরআনের গুণাবলি’, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা’, ‘ইবাদাতের নামে প্রচলিত কতিপয় বিদ‘আত’, ‘র্শিকের ভয়াবহতা, বিদআত ও উহার মন্দ প্রভাবসমূহ’, ‘একশত দশটি ফযীলত-সহ সূরা কাহফের তাফসীর’ (অনুবাদ, প্রকাশিতব্য)। তার সহধর্মিনীর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক।
Related products
ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা রহ.
Reviews
There are no reviews yet.