ঊষর আরবে ফুটেছে এক নতুন কুঁড়ি, আসমানি ফুল। এক অলৌকিক সুবাসে মাতোয়ারা পৃথিবী, সে সুবাস বিমোহিত করে কুল-মাখলুকাত⸺তামাম সৃষ্টি।
যে আরব ছুটেছিল অনৈক্য, লড়াই, হিংসা, দ্বেষ-বিদ্বেষ আর খুনোখুনিতে, সে আরব বাঁক নিল জীবনের নতুন পথে। যে সমাজ পার করছিল পাপের সীমাহীন অন্ধকার দুর্গন্ধে, সে সমাজ আলোকিত হলো এক আসমানি সৌরভের রৌশনিতে। এক অলৌকিক সুমধুর সুবাসে।
সে সৌরভ দখল নিল ঝগড়া-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ-অন্তর্দ্বন্দ্ব—সবকিছুর। হৃদয়ে নিয়ে এলো সখ্য-মিতালি, ন্যায়বোধ ও মানসিক প্রশান্তি। সে ফুলের সুবাসে সিক্ত হলো তৃষিত মন⸺হাজারো পাপের ভারে যা ন্যূব্জ করে তুলেছিল মানুষকে।
মক্কা-মদিনার মরুময়, রুক্ষ প্রকৃতিকে সে সুবাস মোহিত করেছিল, সিক্ত করে তুলেছিল। শক্ত শিলার ওপর যেন হাসনাহেনার কোমল হাসি। পুরো পৃথিবী হেসে উঠল সেই হাসিতে, সৃষ্টজগৎ ঝলসে উঠল সেই সুরভে⸺সেই ফুলেরই রৌশনিতে..।
সেই ফুলেরই রৌশনিতে (সিরাত সিরিজ-৪)
লেখক : আবদুল আযীয আল আমান
প্রকাশক : দারুল ইলম
150 ৳ 90 ৳
বই | সেই ফুলেরই রৌশনিতে (সিরাত সিরিজ-৪) |
---|---|
লেখক | |
প্রকাশক | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 80 |
বাঁধাই | হার্ডকভার |
সংস্করণ | ১ম সংস্করণ, ২০২২ |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |

আবদুল আযীয আল আমান
নজরুল-পরবর্তী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনন্য ও শ্রেষ্ঠ গদ্যকার, আবদুল আযীয আল আমান। জন্মেছেন কলকাতার চব্বিশ পরগনায়। ১৯৩২ সালের ১০ মার্চ। লেখাপড়ার হাতেখড়ি গ্রামের নিজস্ব পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.। শিক্ষকতা ও অধ্যাপনা করেছেন গার্ডেন রীচ কলেজ ও ঢাকার জগন্নাথে। লেখালেখির সাথে যুক্ত হয়েছেন ছাত্রজীবনেই। তখনই লিখেছেন বিখ্যাত বই ‘পদক্ষেপ’। নিজ সম্পাদিত ‘জাগরণ’ ও ‘কাফেলা’ পত্রিকাকে কেন্দ্র করে ঘনিষ্টতা গড়ে ওঠে সমকালীন শ্রেষ্ঠ লেখকদের সাথে। কবি নজরুলের লেখা নিয়ে নতুন ভাবনা ও পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধের বই মিলিয়ে লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৬০ এর বেশি। ১৯৮৩ সালে সস্ত্রীক পবিত্র হজ সম্পাদনার পর শুরু করেন বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক ‘কাবার পথে’ রচনা। ১৯৮৭-তে শুরু হয় বহু আকাঙ্ক্ষিত সিরাতগ্রন্থ রচনা ‘রাসূলুল্লাহ সা’। এই সময়ই লেখক নিজেকে বহির্জগত থেকে গুটিয়ে নিয়ে ‘দ্বীনি অধ্যয়ন’ ও লেখালেখিতে আবদ্ধ রাখেন। ১৯৯৪-এ মাদরাজে চোখের অপারেশনের আগ-মুহূর্তে নভেম্বরে লেখেন জীবনের শেষ প্রবন্ধ (যা ‘মাসিক মদীনা’তে মুদ্রিত হয়েছিল) ‘রাসূলুল্লাহ সা.-এর বিনয়’। ১৯৯৪-এর ১ লা ডিসেম্বর হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লেখক এবং এ দিনই সকাল ১১:৫৫ মিনিটে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দেন।
Reviews
There are no reviews yet.