সময় সতত বয়ে চলে। একে থামিয়ে রাখা যায় না। তুমি কাজে মশগুল থাকলেও সময় অতিবাহিত হবে, অতিবাহিত হবে অলসতা আর ঘুমের মাঝে বিভোর থাকলেও। হ্যাঁ, তুমি যেভাবেই থাকো, তোমার জীবন-সময় একদিন নিশ্চিত ফুরিয়ে যাবে। প্রতিদান দিবসে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের ফলাফল তুমি দেখতে পাবে। সেদিনই তুমি বুঝবে, আখিরাতের সাফল্যের জন্য দুনিয়ার একেকটি মুহূর্ত কত যে দামি ছিল! সময়কে কাজে লাগিয়ে পুঁজি সংগ্রহের কত সুযোগ তোমার সামনে ছিল! তখন আফসোস করবে, আবার যদি জীবন ফিরে পেতাম, সময়ের সর্বোচ্চ সঠিক ব্যবহার করতাম! হে ভাই, সেদিন আফসোস করার আগেই জীবন থাকতেই আসো, সময়ের মূল্যায়ন করি। শিখি সময়ের সঠিক ব্যবহার…
লেখক পরিচিতি
খালিদ আবু শাদি মিসরের একজন প্রতিভাবান দায়ি ইলাল্লাহ। ১৯৭৩ সালের ১৮ মার্চ গারবিয়াহ প্রদেশের জিফতা নগরীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন কুয়েতে। তারপর মিসরের কায়রো ইউনিভার্সিটিতে ফার্মেসি ফ্যাকাল্টি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রখর মেধা ও অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কর্মজীবনের একটি বড় সময় তিনি দাওয়াহর কাজে ব্যয় করেন। লেখালেখিকেই তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। তাঁর স্বতন্ত্র রচনাশৈলী আর হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনা সহজেই পাঠকদের নজর কাড়ে। মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার অদ্ভুত এক শক্তি আছে তাঁর কলমে। দাওয়াহ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় একে একে তিনি উম্মাহকে উপহার দেন ১৪টিরও বেশি মূল্যবান গ্রন্থ। ‘ইয়ানাবিউর রাজা’, ‘মাআন নাসনাউল ফাজরাল কাদিম’, ‘সাফাকাতুন রাবিহা’, ‘লাইলি বাইনাল জান্নাতি ওয়ান নার’, ‘বি-আইয়ি কালবিন নালকাহ’ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অসংখ্য মূল্যবান প্রবন্ধ। কখনো বক্তৃতাকেও তিনি দাওয়াহর মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাঁর হৃদয়-নিংড়ানো আহ্বান অসংখ্য পথহারা তরুণকে দ্বীনের পথে উঠে আসার প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা প্রতিভাবান এই দায়ি ইলাল্লাহর দীর্ঘ কর্মময় জীবন কামনা করি।
সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন? বইটির ফ্রি পিডিএফ অফিসিয়ালি অনুমোদিত নয়।
সময়ের সঠিক ব্যবহার কীভাবে করবেন? বইটি পড়ে রিভিউ সেকশনে রিভিউ দিয়ে অপরকে উৎসাহিত করুন।
ibrahim –
সুযোগ হারালে…’
• সুযোগ চলে গেলে… তুমি বাবা-মায়ের সাথে সদাচরণ করার ইচ্ছা করো; অথচ তখন তোমার বাবা-মা কবরে শায়িত।
• সুযোগ চলে গেলে… জুমআর দিন তুমি সূরা কাহফ তিলাওয়াত করার ইচ্ছা করো ঠিক তখন, যখন মাগরিবের সময় প্রায় শেষ।
• সুযোগ চলে গেলে… তুমি ফজরের নামাজ পড়তে চাও তখন, যখন সূর্যের কিরণ বিচ্ছুরিত হবে হবে অবস্থা।
• সুযোগ চলে গেলে… তুমি তখন অন্যের সাথে কৃত ওয়াদা পূরণ করতে চাও, যখন তোমার ও তার মাঝে দীর্ঘ পথের দূরত্ব হয়ে গেছে।
• সুযোগ চলে গেলে… পরীক্ষা শুরু হবার আর মাত্র কয়েক মুহূর্ত বাকি, তখন তোমার পড়ার ইচ্ছা জাগে।।
• সুযোগ চলে গেলে… তুমি তাওবা করতে চাও; অথচ ততক্ষণে রুহ কণ্ঠনালীতে পৌঁছে গেছে, মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে, মালাকুল মাওত তার দায়িত্ব আদায় করছে।