একটি সন্তানকে শুধু খাইয়ে-পরিয়ে বড় করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। পোষা প্রাণীর ক্ষেত্রে এটা যথেষ্ঠ হতে পারে, কিন্তু মানব-সন্তানের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট নয়। এর বাস্তবতা কতটা ভয়াবহ তার চাক্ষুষ প্রামণ আমরা নিজেরাই। আমরা দেখছি কীভাবে ছেলে মেয়েরা নষ্ট হচ্ছে। অর্থকড়ির কোনো কমতি নেই, বাবা-মা কোনো চাহিদা অপূর্ণ রাখেননি, তথাপি তারা বিপথে যাচ্ছে।
একটি শিশুকে আদর-যত্ন-ভালোবাসা দিয়ে যতটা না লালন-পালন করতে হয়, তার চেয়ে সুষ্ঠ শিক্ষা দিয়ে লালন পালন করা কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সমাজে তার স্থান সম্পর্কে ধারণা দিতে হয়। সাফলতার উপায়গুলো শিখিয়ে দিতে হয়। দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে তাকে সচেতন করে করতে হয়। প্রতিটি শিশুকেই এ বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া জরুরী; তবে মুসলিম শিশুদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা আরও অনেক বেশী। দুনিয়ার চাক্যচিক্যতার বাস্তবতা তাকে বোঝাতে হয়। গায়েবি আখিরাতের সত্যতা তাকে উপলব্ধি করাতেহ হয়। সৃষ্টির পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হয়। মূলত সকল স্বপ্ন ভেস্তে যাবার আগেই এসবের সাথে তাকে পরিচিত করতে হয়। এবং সেটা ছোট থাকতেই।
.
আমাদের সন্তানেরা ভুলপথে যাচ্ছে কেন, সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের ভুলে যাওয়া দায়িত্বগুলো কী..সন্তান লালন-পালনের দ্বীনি দিকনির্দেশনা নিয়ে রচিত ‘সন্তানের শ্রেষ্ঠ উপহার’। লেখক : মুফতি মনসূরুল হক।
Reviews
There are no reviews yet.