প্রতিটি বইয়েরই একটি নিশানা বা লক্ষ্য – উদ্দেশ্য থাকা উচিত। পাঠক কী পড়বেন, কেন পড়বেন? একটি সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার লক্ষ্য বা ধারণা না থাকলে বইপাঠের ফলাফল শূন্য। তা না হলে, পাঠশেষে পাঠককে দিগদিশাশূন্য শেকড় বা প্রয়োগহীন উড়ন্তজন হয়েই থাকতে হবে।
লেখক যেন পাঠককে নাগরদোলায় চড়ালেন, একটি বৃহৎ বৃত্তে প্রদক্ষিণ করিয়ে আবার আগের জায়গায় নামিয়ে দিলেন। ক্ষুদ্র কিংবা ঢাউস সাইজের কোনো লক্ষ্য ও বার্তাহীন বইপাঠ শেষে পাঠকের হৃদয় ভালো প্রতিক্রিয়া বা সুখানুভূতি থেকে শূন্যই থেকে যায়। তাই যে উদ্দেশ্যেকে কেন্দ্র করে এই বইটি লেখার পটভূমি তৈরি হয়েছে, এই অধ্যায়জুড়ে সংক্ষেপে তার কিছু আলোচনা পেশ করব ইনশাআল্লাহ।
এ বই মূলত একটি মহাসংগ্রামের আহ্বান। যে সংগ্রামের উত্তপ্ত রণাঙ্গনে লেখালেখির অস্ত্রটি কোনোক্রমেই খেলনা নয়। খোলা কলমের উচ্চকিত আওয়াজ নাঙা তলোয়ারের ঝনঝনানির চেয়ে কম নয় কোনো অংশেই। অভিশপ্ত ইবলিস শয়তানের মুণ্ডুপাতে দুটোই যে অতি কার্যকরী পদক্ষেপ।
তাই এই বইয়ের মূল লক্ষ্যটি হলো— দৃশ্য অদৃশ্য জগতের মধ্যে সংঘটিত পুরো ইতিহাসটিকে কয়েকটি পাতায় পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেওয়া। পাঠককে মনে করিয়ে দেওয়া যে, আল্লাহর দুশমন শয়তান আপনার কত বড় শত্রু! অনন্ত অসীম কালের এই শত্রুতাকে পাঠকের মননে মূর্ত করে তোলাই এই বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য। যেন পাঠক সাবধান হন। সতর্ক হন।
শয়তানের ধূর্ত আক্রমণ প্রতিহত করতে আরও বেশি প্রস্তুত হন। এই বইয়ের আরও লক্ষ্য হচ্ছে, চিরশত্রুকে প্রতিরোধ বা তার কাছ থেকে প্রতিশোধের জন্য পাঠককে উদ্বুদ্ধ ও উপযুক্ত করে তোলা। যে শত্রু পৃথিবীর সূচনা কিংবা তারও আগ থেকে আমাদের এত বেশি ক্ষতি করে চলেছে যে, যার ক্ষতি আজও আমাদের দ্বারা পুশিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। আমরা তার আক্রমণে প্রতিনিয়ত আরও কুপোকাত হয়ে চলছি !
শয়তানের শত্রুতা এবং তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সবিস্তারে তুলে ধরেছেন ড. খালি আবু শাদি ‘শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বইয়ের পাতায় পাতায়…
Reviews
There are no reviews yet.