“তওবা তো করতে চাই কিন্তু…” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
আমি এক অপরাধী।এমন কোন অপরাধ নেই, যা আমি করিনি।হেয়ালিপনা করতে করতে কত শত গুনাহের কাজ আমার দ্বারা প্রতি মুহুর্তে ঘটে যাচ্ছে।দিনশেষে আমি গুনাহের ভারে ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
হঠাৎ একদিন আমার মধ্যে ভাবনার উদ্রেক হয়।নিজেকে তুচ্চজ্ঞান করি।বলি হায়; তুমি না আশরাফুল মাখলুকাত! আল্লাহ পাকের সৃষ্টির সেরা জীব! এসব করছো কি তুমি! এ জীবন তো তোমার জীবন নয়! অনিষ্ট এই জীবনের জন্য তুমি সৃষ্টি হওনি! কত বড় ধৃষ্টতা! সৃষ্টি তার শ্রষ্টার কথা মানে না! তার জীবনের চাকা ঘুরছে মনচাহি! ভাবতে ভাবতে বিষন্ন হয়ে পড়ি।হতাশ হয়ে পড়ি।আর বলি, এভাবে বেচে থাকার কোন অর্থ হয় না! ধ্বংস হয়ে যাই।আত্নহত্যার পথ খুজি।
আবার ভাবি, আরে, এটি তো এমন পথ যে পথে গেলে জীবনের তরেই শেষ হয়ে যেতে হবে! নরকই হবে চূড়ান্ত ঠিকানা আমার! তবে কি করি আমি?
কিন্তু তবুও আল্লাহ পাক আমাদের জন্য কি পরিমান দয়ালু সেটা নবী করিম (সা) এর কথা থেকেই বুঝতে পারি,
-যে ব্যক্তি মৃত্যুযন্ত্রণার পূর্বে আল্লাহকে হাজির-নাজির মেনে তওবা করে, আল্লাহও কবুল করে নেন তার তওবা। [আহমদ,তিরমিযী ]
আর স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন,
-আমার বান্দাদের এ সুসংবাদ দাও যে নিঃসন্দেহে আমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা হিজর; আয়াত ৫০)
মনে রাখবেন, মহান আল্লাহ তায়ালার মহানুভাবতাও মহান।তিনি অপেক্ষায় থাকেন, কখন তার বান্দা তার দিকে ফিরে আসবে; আর তিনি বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন।মুসলমানদের সঙ্গে নৈরাশ্য কখনো যায় না।কারন, স্রষ্টা তাদের পাপমোচনের জন্য ‘তওবা’ নামের এক নেয়ামত দান করেছেন।আসুন এক্ষুনি তওবা করি আমি, আপনি, সবাই।
“তওবা তো করতে চাই কিন্তু…” বইয়ের সূচি:
আমাদের কথা…..৫
গুনাহকে ছােট মনে করার ক্ষতি…..৭
তওবার শর্তাবলি ও তওবার পূর্ণতা…..১১
বিস্ময় জাগানিয়া কিছু তওবার ঘটনা…..২১
তওবা পূর্বের গুনাহকে নিঃশেষ করে দেয়…..২৫
আল্লাহ আমাদেরও কি ক্ষমা করবেন!…..২৮
শত মানুষ হত্যাকারী এক বান্দার ক্ষমা!…..৩২
গুনাহ করার পর কী করি আমি?…..৩৯
আমাকে আমার অপকর্ম প্রভাবিত করে…..৪৪
সে তাে আমাকে ধমক দিতে থাকে…..৪৯
আমার জীবনকে আমার গুনাহ রেখেছে পেরেশান করে…..৫৫
স্বীকারােক্তি করাও কি আবশ্যক?…..৫৮
আপনার জিজ্ঞাসা,আমার জবাব…..৬৪
শেষ আহ্বান…..৯০
Reviews
There are no reviews yet.