বাংলার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অনালোচিত অথবা অপ্রপ্রচারের ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন অধ্যায়গুলোকে পাঠকের সামনে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়েই বাঙলানামার যাত্রা শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষের এই সময়ে বাংলানামার এভারের সংখ্যাকে সাজানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সফলতা,ব্যর্থতাকে ঘিরেই।
এবারের সংখ্যায় খ্যাতিমান চিন্তাবিদ ফাহমিদ-উর-রহমান লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ও তাঁর পিছনের কাহিনী নিয়ে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাঙালী মুসলমান’ নামক প্রবন্ধ। নাজমুল রানা লিখেছেন ব্রিটিশপূর্ব মুসলিম শাসনামল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে মুসলমানদের সামাজিক বিকাশ সম্পর্কে। তার রচিত প্রবন্ধের নাম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাঙালী মুসলমানের বিকাশ’। তরিকুল হুদার রচনা ‘দেজা ভ্যু: বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মর্তাদর্শিক পরিগঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ তে উঠে এসে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের সারকথা। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরে কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেছনের দিকে যাত্রা শুরু করে নতুন মোড়কে ঔপনিবেশিক কাঠামোর পুনরাবৃত্তি করছে তা উঠে এসেছে আহমাদ শাব্বীর রচিত ‘ ট্রাজিক এবং পরাবাস্তবতার মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিউপনিবেশায়ন নাকি ঔপনিবেশিক চিন্তা ও কাঠামোর পুনরুৎপাদন’ নামক প্রবন্ধে। মানোয়ার সাখাওয়াত শামসী রচিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক বিবর্তন’ প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকার বিষয়টি।
সাংস্কৃতিক প্রাধান্য বিস্তার নিয়ে ইসলামপন্থী ও সেক্যুলারদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে সোহরার হোসাইন লিখিত ‘ইসলামিজম বনাম সেক্যুলারিজম: দ্বন্দ্বের দোলাচলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামক রচনায়। মিনহাজুর রহমান রেজবী ও শহীদুল ইসলাম তাদের যৌথকর্ম ‘শিক্ষা ও গবেষণার হাল-হাকিকত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামের প্রবন্ধে তুলে এনেছেন প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত শিক্ষা ও গবেষণার অবস্থা ও পরিসংখ্যান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নবাব সলিমুল্লাহর অবদান, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কেন তিনি বর্তমানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই উপেক্ষিত তা আলোচিত হয়েছে কামারুজ্জামানের লেখা ‘নবাব সলিমুল্লাহ,বঙ্গবঙ্গ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:বিস্মৃতির অন্তরালে সন্ত্রাসবাদী সেক্যুলার সাম্প্রদায়িক মানস’ নামক প্রবন্ধে।
Reviews
There are no reviews yet.