ছোটভাগের সময়টাতে দেখা যায় যে, স্বামী অনুগত হবে স্ত্রীর। সন্তান মায়ের অব্যাধ্যতা করবে। বাবাকে দূরে সরিয়ে দেবে এবং বন্ধুকে নিকটবর্তী বানাবে। গায়িকা, নর্তকী ও গান-বাদ্যোর ব্যাপক প্রসার ঘটবে। মদপান করবে। উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের অভিশাপ দিবে। লজ্জা-শরম হারিয়ে যাবে। সমকামিতার বিস্তার ঘটবে।
আর বড়ভাগের সময়টা দেখা যাবে যে, ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হয়েছে, আর লোকেরা তাঁকে খুঁজছে। খোঁজ করতে করতে তাঁকে মক্কায় পেয়ে যায় তাওয়াফরত অবস্থায়। এবং জোর করে তাঁর হাতে বাইআত গ্রহণ করে। অত:পর…
——–
কেয়ামত-আখেরাত বিষয়ে অনেক বই পাওয়া যায়। তবে নির্ভরযোগ্য ও পরিপূর্ণ বই পাওয়া মুশকিল। বলতে গেলে দূর্লভ-ই। মুফতী রাইহান খাইরুল্লাহ’র অনূদিত ‘কেয়ামত’ বইটি সকল অপূর্ণতাকে পূর্ণ করে দিয়েছে।
মূল লেখকগণ সকল-ই বড় বড় মানুষ। মুফতী শাহ রফী উদ্দীন, হুসাইন আহমাদ মাদানী, মুফতী শফী রাহিমাহুমুল্লাহ সহ আরো ছয়জনের পুস্তিকার সংকলন-ই হলো ‘কেয়ামত’।
বইটিতে কেয়ামতের ছোট-বড় নিদর্শনসমূহ, জান্নাত-জাহান্নাম-আখেরাত, ইমাম মাহদী, দাজ্জাল, ইয়াজুজ-মাজুজ, হয়রত ঈসা আ. এর পুনরাগমন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
এবং ‘ওই’ সকল বিপদ থেকে পরিত্রানের উপায়ও বলা হয়েছে। দাজ্জাল, ইয়াজুজ-মাজুজ, সহ কেয়ামতের কঠিন ময়দান থেকে কীভাবে নাজাত পাওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
বইটিতে হাদীস সমূহের যে উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে, তার সবগুলোতেই অনুবাদক নিজে কষ্ট করে তাখরীজ করেছেন।
Reviews
There are no reviews yet.